হেঁটে দেশ ভ্রমণে দু’ ভাই এখন গাইবান্ধায়
Published: 23rd, February 2025 GMT
‘তোমরা আমার পৃথিবীতে ভ্রমণ করো, তাহলে আমার সৃষ্টির বিষয়ে তোমাদের জ্ঞান আরো বৃদ্ধি পাবে’— পবিত্র আল কোরআনের এ বাণীতে উজ্জীবিত হয়ে এবং যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে গত ২৬ জানুয়ারি হেঁটে দেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন মাদারীপুরের সহোদর হাফেজ সিয়াম উদ্দিন (২১) ও হাফেজ সায়েম উদ্দিন (১৭)।
জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মাদারীপুর থেকে ৬৪ জেলা ভ্রমণ শুরু করে ইতোমধ্যে তারা ২৯ জেলা ভ্রমণ শেষ করেছেন। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুই ভাই জয়পুরহাট থেকে গাইবান্ধায় পৌঁছান। এরপর তাদের দিনাজপুর জেলার উদ্দেশে হাঁটা শুরু করার কথা। হেঁটে ভ্রমণে পায়ের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত ও শারীরিকভাবে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন দুই ভাই।
সিয়াম ও সায়েম মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ বাঁশগাড়ি আউলিয়ারচর এলাকার মাহমুদুল আলম গিয়াসের ছেলে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের দুটি বিষয় ভারতের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক: জয়শঙ্কর
ট্রাম্পের দাবি
বাংলাদেশে ‘উগ্র বামপন্থিদের’ ভোট দিতে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়
হাফেজ সিয়াম ও সায়েম জানান, দুই ভাই দেশের ৬৪ জেলা হেঁটে ভ্রমণ করবেন। জয়পুরহাট থেকে সকালে ২৯তম জেলা ভ্রমণে গাইবান্ধায় এসেছেন। এখান থেকে পলাশবাড়ী উপজেলা হয়ে দিনাজপুর যাবেন।
তারা আরো জানান, তারা সারা দিন হেঁটে মাঝে-মধ্যে পথে বিশ্রাম করেন এবং হালকা নাস্তা করেন। এখন পর্যন্ত পথে কোনো সমস্যা হয়নি। যে এলাকায় যান, সেখানকার মসজিদে রাত্রিযাপন করেন। মসজিদ কমিটি থেকে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে।
তারা জানান, শারীরিকভাবে তারা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লেও দমে যাবেন না। সুস্থভাবে ৬৪ জেলা হেঁটে ভ্রমণ শেষ করার জন্য সকলের কাছে দোয়া চান তারা।
ঢাকা/মাসুম/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।
টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।
বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।
আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।