ইতালির লিওরেন্টিনা স্ট্রাইকার ময়েক কিন হঠাৎ মাঠে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেছেন। তাকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম গোল দিয়েছে এই খবর। 

রোববার ফিওরেন্টিনা ও ভিরোনার মধ্যকার সিরি আ’ ম্যাচের ঘটনা এটি। কিন হেড দিতে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। কনকাশন ইনজুরিতে পড়েন। 

তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মাঠ ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই মাঠে ফিরে আসেন। খানিক বাদে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান ২৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। 

ফিওরেন্টিনার পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ময়েস কিন মাথার ইনজুরিজনিত ট্রমায় ভুগে অজ্ঞান হয়ে যান। তাকে প্রয়োজনীয় টেস্ট করানোর জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। 

ময়েজ কিন ইতালির হয়ে ১৯ ম্যাচে ৫ গোল করেছেন। তিনি জুভেন্টাসে পাঁচ মৌসুম জুভেন্টাসে খেলেছেন। এভারটনে খেলেছেন তিন মৌসুম ও পিএসজি’তে খেলেছেন এক মৌসুম। ইউরোপের শীর্ষ লিগে ৬৭ গোল করেছেন এই স্ট্রাইকার।   
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ