Samakal:
2025-08-01@19:01:11 GMT

সংস্কারহীন ১৭ বছর

Published: 23rd, February 2025 GMT

সংস্কারহীন ১৭ বছর

সড়ক হওয়ায় ২৩ বছর পেরিয়ে গেছে। এর পর আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি সংস্কার বা মেরামতের। এ চিত্র বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের ধানডোবা এলাকার গ্রামীণ সড়কের।
জানা গেছে, ২০০২ সালে নীলখোলা বাসাইল ভায়া চেঙ্গুটিয়া সড়কের ধানডোবা গোমস্তা বাড়ির সামনে থেকে রামসিদ্দি বাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি এলজিইডির রুরাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট-১৯ প্রকল্পের আওতায় পিচ-পাথর দিয়ে পাকা করা হয়। ধীরে ধীরে সড়কটির পিচ-পাথর উঠে যেতে শুরু করে। এতে যানবাহন ও মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম কাজল জানান, এলাকাটি বিএনপি অধ্যুষিত। এ কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও গত ১৭ বছরে সড়কটি মেরামতের প্রয়োজন মনে করেনি আওয়ামী লীগ সরকার। ৫ আগস্টের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহ খান সরেজমিন সড়কটি দেখেছেন। বেহাল সড়ক দেখে তিনি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।
একই এলাকার শফিকুল ইসলাম সিকদার, রজ্জব সরদার ও মাসুদ খান বলেন, পিচ-পাথর উঠে ইট বেরিয়ে গেছে। পুরো এলাকা লাল মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। জায়গায় জায়গায় বড় বড় গর্ত। পুরো সড়ক ভেঙেচুরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুর রহমান জানান, সড়কটি এলজিইডির আইডিভুক্ত নয়। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে সড়ক এলজিইডির আইডিভুক্ত করতে উপজেলা পরিষদে প্রস্তাব পাঠাতে হবে। মাসিক সমন্বয় সভায় প্রস্তাবটি পাস হলেই আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠাব।
বার্থী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, রাস্তাটির আইডি নম্বর নেই। নতুন আইডি নম্বর করার জন্য অনেক আগেই উপজেলা পরিষদে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নতুন করে পাঠাতে হলে সে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহ খান বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির উন্নয়নের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে জেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে। পরিষদের সভায় অনুমোদন পেলে দরপত্র আহ্বান করে দ্রুতই সড়কটি মেরামতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বেহাল সড়ক

মুন্সিগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের সংযোগ স্থাপনকারী প্রধান সড়কটি হলো মুক্তারপুর তেলের পাম্প থেকে মানিকপুর পর্যন্ত সড়ক। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বর্তমানে চরম বেহাল। যান চলাচল প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

কিছুদিন আগে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই সড়কটি আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে কাজ করেছে, ব্যবহার করেছে নিম্নমানের উপকরণ। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি ভেঙে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।

একটি জেলা শহরের প্রবেশপথের এমন করুণ অবস্থা সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি যানবাহন। ফলে বাধ্য হয়ে ভাঙা সড়ক দিয়েই মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।

সড়কটির এমন করুণ অবস্থার পেছনে মূলত দুর্নীতিই দায়ী। কোথায় পানি জমে, কোথায় ঢালু রাখা প্রয়োজন—এসব মৌলিক বিষয়ও পরিকল্পনায় উপেক্ষিত ছিল। প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর জবাবদিহির অভাব ও নজরদারির ঘাটতির কারণেই আজ এ দুরবস্থা।

সড়কের খারাপ অবস্থার জন্য এবং এর পেছনের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জ শহরের সাধারণ মানুষ এখন রাস্তায় নেমেছেন। তাঁরা প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে দ্রুত সংস্কার ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আন্দোলন করছেন।

মো. রাসেল ভূঁইয়া

খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সিগঞ্জ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টানা বর্ষণে বেহাল বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক, খানাখন্দে ভোগান্তি
  • বেহাল সড়ক