ঢাকার ধামরাইয়ে নিজের মুরগির খামারে কাজ করার সময় টিনে আঘাত লেগে রুবেল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। 

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান। 

এর আগে, একই দিন বিকেলে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া এলাকায় আঘাত পান তিনি।

আরো পড়ুন:

নিজের পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল দম্পতির

মসজিদে হামলার ঘটনায় আহত ইব্রাহীমের মৃত্যু

মারা যাওয়া রুবেল ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি যুবদলের কর্মী ও পদ প্রত্যাশী ছিলেন।

পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিকেলে নিজের মুরগির খামারের চালায় মই দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন রুবেল। তিনি পা ফসকে মই থেকে নিচে পড়ে যান। এ সময় টিনের আঘাতে হাতের কবজির ধমনী কেটে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেল হোসেনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

রুবেলের বোন জামাই ফিরোজ হোসেন বলেন, ‍“রুবেল টিনের চালায় উঠেছিল মই দিয়ে, হাতে টিন ছিল। হঠাৎ মই ফসকে নিচে পড়ে যায় রুবেল। টিন ডান হাতের ওপর পড়ে। তখন থেকেই রক্ত ঝরছিল। হাসপাতালে নিয়েছি, কিন্তু রক্ত ঝরা থামেনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।” 

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনচার্জ মো.

ইউসুফ বলেন, “রাত ১১টার দিকে রুবেল হোসেন নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আঘাতজনিত কারণে তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ