স্টুডিওতে ‘যৌন হয়ারানির’ শিকার মাদরাসা শিক্ষার্থী, আটক ১
Published: 24th, February 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর একটি স্টুডিওতে ছবি তুলতে গিয়ে এক মাদরাসা ছাত্রী ‘যৌন হয়রানির’ শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্টুডিওর কর্মচারী হাসান আলীকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকা অবস্থিত ‘স্টুডিও ঝিলিক’-এ ঘটনাটি ঘটে। বাসন থানার এসআই মোহাম্মদ আলী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক হাসান পটুয়াখালীর নৌমালা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
চকরিয়ায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫
নোয়াখালীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ছাত্রীর বাবা জানান, মাদরাসার কাজের প্রয়োজনে তার মেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসার পাশের স্টুডিওতে ছবি তুলতে যায়। আধাঘণ্টা হয়ে গেলেও মেয়ে বাসায় ফিরে না আসায় তিনি নিজেই স্টুডিওতে যান। এসময় স্টুডিওর মালিক সেখানে ছিলেন না। স্টুডিওর ভেতরে কক্ষের দরজা হালকা চাপানো ছিল। দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে তিনি দেখতে পান, মেয়ের হিজাব খোলা আর হাসান তার পরনের কাপড় গুছাচ্ছে। স্টুডিও কর্মচারী হাসান তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায়। পরে তাকে আটকে বাসন থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে হাসানকে থানায় নিয়ে যায়।
বাসন থানার এসআই মোহাম্মদ আলী বলেন, “রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসানকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সুদের টাকা লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- পারভেজ শেখ (২০), মানিক শেখ (৪১), সাদ্দাম শেখ (৩৫), শাকিল খান (২৫), ফয়সাল শেখ (২০), আবু সাঈদ শেখ (৪০), সজীব শেখ (১৯), রনি শেখ (৪০), সোহেল সুলতান (২৫), আফ্রিদি শেখ (১৯), মোস্তফা শেখ (৪০), নুরুন্নবী (১৮), আমানুল্লাহসহ (২৫) আরও অনেকে।
গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ ও কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কোটালীপাড়া থানার আহত এসআই সেলিম মাহমুদ কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই এসআইসহ কোটালীপাড়া থানার আরও ৩ কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে কোটালীপাড়া থানার এসআই মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন।
মাঝবাড়ি গ্রামের কালাম দাড়িয়া ও বংকুরা গ্রামের হাসেম মুন্সি জানিয়েছেন, কোটালীপাড়া উপজেলার বংকুরা গ্রামের রিয়াজুলের কাছ থেকে মাঝবাড়ি গ্রামের ফারুক দাড়িয়া সুদে টাকা নেন । সেই টাকা সময়মত ফারুক সুদে আসলে পরিশোধ করতে গড়িমসি শুরু করেন। এতে পাওনাদার রিয়াজুল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সুদের টাকা লেনদেন নিয়ে দু’জনের মধ্যে আজ শুক্রবার সকালে বাকবিতণ্ডা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মসজিদের মাইক থেকে গ্রামবাসীকে সংঘর্ষে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ আহ্বানের পর দুই গ্রামের লোকজন ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দফায়-দফায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। পুলিশ প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। দুই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কোটালীপাড়া পাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ ও উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে ওসি আরও বলেন, এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়ামাত্র আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত রিয়াজুল ও ফারুক দাড়িয়ার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।