কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার মধ্যম বাটাখালী এলাকার একটি সড়কে ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় কয়েক হাজার জাতীয়পত্র (এনআইডি) উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এ তদন্ত কমিটি করেন।

কমিটিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার দুজন মাঠ কর্মকর্তা।

ইউএনও আতিকুর রহমান কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সড়ক থেকে হাজারো জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধারের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার বিকেলে এসব জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার মধ্যম বাটাখালী এলাকায় সড়কের ওপর কয়েক হাজার জাতীয় পরিচয়পত্র ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় দেখে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন এলাকাবাসী। এরপর চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাতীয় পরিচয়পত্রগুলো উদ্ধার করেন। এসব জাতীয় পরিচয়পত্র চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের এবং ২০০৮ সালে ইস্যু করা।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যেসব জাতীয় পরিচয়পত্র সড়ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তার সবই পুরোনো। চকরিয়ায় সব জায়গায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ শেষ হয়েছে। স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় পুরোনো জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নেওয়া হয়। তবে এসব পুড়িয়ে ফেলা বা নষ্ট করে ফেলার কথা। হাজারো জাতীয় পরিচয়পত্র সড়কে কীভাবে এল, তা জানতে আজ সোমবার থেকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র চকর য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ক্রিকেটার এবং মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (১৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন—সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক মো. আবুল খায়ের ওরফে হিরু, কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির ও তানভির নিজাম এবং বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) উদ্দীপনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার, সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও সিইও বিদ্যুত কুমার বসু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো.মাহবুবুর রহমান, সাবেক সদস্য মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ডা. আবু জামিল ফয়সাল ও শওকত হোসেন।

তাদের মধ্যে শেষের ১০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান এই ১০ জনের  দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তরা দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে ব্যক্তিগত লাভ ও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মাইক্রোক্রেডিট আইন (২০০৬) এর ২৪(৩) ধারা ও বিধি (২০১০) এর বিধি ১৯ (১)  লঙ্ঘন করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্র ঋণ তহবিল থেকে অনুমোদনহীন গোল্ডব্রিকস এবং এ অ্যান্ড পি ব্যাটারি প্রকল্পে যথাক্রমে প্রায় ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬৬  টাকা বিনিয়োগ দেখিয়ে স্থানান্তর করেছেন। এ জালিয়াতি সম্পর্কিত একটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন আছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামিররা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন ঠেকানো ও এনআইডি ব্লক করা প্রয়োজন।

সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন।

আবেদনে বলা হয়, সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক মো. আবুল খায়েরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে সরকারি বিধি ও শেয়ারবাজার আইন লঙ্ঘন করে শত শত কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্টরা অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক। 

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাকিবসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা