সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কয়েক হাজার এনআইডি, কারণ জানতে কমিটি
Published: 24th, February 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার মধ্যম বাটাখালী এলাকার একটি সড়কে ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় কয়েক হাজার জাতীয়পত্র (এনআইডি) উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এ তদন্ত কমিটি করেন।
কমিটিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার দুজন মাঠ কর্মকর্তা।
ইউএনও আতিকুর রহমান কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সড়ক থেকে হাজারো জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধারের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার বিকেলে এসব জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার মধ্যম বাটাখালী এলাকায় সড়কের ওপর কয়েক হাজার জাতীয় পরিচয়পত্র ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় দেখে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন এলাকাবাসী। এরপর চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাতীয় পরিচয়পত্রগুলো উদ্ধার করেন। এসব জাতীয় পরিচয়পত্র চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের এবং ২০০৮ সালে ইস্যু করা।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যেসব জাতীয় পরিচয়পত্র সড়ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তার সবই পুরোনো। চকরিয়ায় সব জায়গায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ শেষ হয়েছে। স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় পুরোনো জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নেওয়া হয়। তবে এসব পুড়িয়ে ফেলা বা নষ্ট করে ফেলার কথা। হাজারো জাতীয় পরিচয়পত্র সড়কে কীভাবে এল, তা জানতে আজ সোমবার থেকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর—কোথায় বিনিয়োগ করবেন
আপনার হাতে ২-৩ লাখ টাকা জমেছে। এ টাকা কী করবেন, কোথায় জমা রাখবেন, এ নিয়ে চিন্তিত হন। এত টাকা হাতে এলে প্রথমেই সঞ্চয়পত্র কেনার কথা ভাবেন অনেকে। আবার অনেকে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) করার কথাও চিন্তা করেন।
তবে সঞ্চয়পত্র কেনা নাকি এফডিআর করা—কোনটি ভালো হবে, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন অনেক। সঞ্চয়পত্র ও এফডিআর নিয়ে একটি বিশ্লেষণ দেওয়া হলো। বিশ্লেষকেরা বলেন, বিনিয়োগের একটি অংশ সঞ্চয়পত্রে ও অপর অংশ এফডিআরে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে ঝুঁকি কম থাকে।
সঞ্চয়পত্র
মধ্যবিত্তের জন্য সঞ্চয়পত্র বেশি জনপ্রিয়। কারণ, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে ঝামেলা নেই। এত ব্যাংক কেলেঙ্কারির মধ্যেও সঞ্চয়পত্র একটি আস্থার আর্থিক পণ্য হিসেবে সমাজে স্বীকৃত।
সুবিধা কী কী
১. সঞ্চয়পত্রে সরকারি গ্যারান্টি থাকে। তাই টাকা হারানোর ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
২. এফডিআর থেকে তুলনামূলকভাবে সুদের হার বেশি। বর্তমানে সঞ্চয়পত্রে গড়ে সুদের হার ১২ শতাংশের আশপাশেই আছে।
৩. দীর্ঘ মেয়াদে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে।
৪. সাধারণত কর মওকুফ বা কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া। যা আপনার বছর শেষে করের পরিমাণ কমিয়ে দেবে।
৫. বিপদে পড়লে সঞ্চয়পত্র ভেঙে কাজে লাগানো যায়। অনেকে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেও সঞ্চয়পত্র কেনেন।
অসুবিধা কী কী
১. নির্দিষ্ট সীমার বেশি কেনা যায় না। যেমন—পরিবার সঞ্চয়পত্র ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। আবার পেনশনার সঞ্চয়পত্র ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কিনতে পারবেন।
২. মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে ভাঙালে মুনাফার পরিমাণ কমে যায়।
৩. মুনাফার টাকার উৎসে কর কেটে নেওয়া হয়।
৪. তাৎক্ষণিকভাবে নগদায়ন করার সুবিধা সীমিত।
এফডিআর
এটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখতে হয়। আপনার টাকা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রেখে মুনাফা নেওয়া যায়। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এফডিআর করা যায়।
সুবিধি কী কী
১. ব্যাংকভেদে এফডিআরের মেয়াদ বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে। সাধারণত ৩ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত এফডিআর করা হয়।
২. এফডিআরের বিপরীতে ইচ্ছা করলে ঋণ নেওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে যত টাকার এফডিআর করা হয়, সাধারণত এর ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়।
৩. কিছু ব্যাংক মাসিক বা তিন মাস ভিত্তিতে সুদ প্রদান করে। যা নিয়মিত আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
৪. টাকা প্রয়োজন হলে তুলনামূলকভাবে সহজে এফডিআর ভাঙানো যায়।
অসুবিধা কী কী
১. সাধারণত সুদের হার সঞ্চয়পত্রের চেয়ে কম। সুদের হার ৬ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে থাকে। কিছু ব্যাংক এর বেশি হারের সুদ দেয়।
২. ব্যাংকের স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে এফডিআরের ভবিষ্যৎ।
৩. সময়ের আগে ভাঙালে সুদ কমে যায়।