ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় মামলা
Published: 24th, February 2025 GMT
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে মামলাটি করেন নিহত হানিফের ছোট ভাই ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম ইশা। মামলায় আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
শৈলকূপা থানা ওসি মাসুম খান বলেন, “গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে শৈলকূপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাটে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেক করা হয়নি। নাম না জানা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেন নিহত হানেফের ভাই।”
আরো পড়ুন:
পঞ্চম বিয়ে করায় চতুর্থ স্ত্রীর হাতে প্রাণ গেল স্বামীর
রাজশাহীর আবুল বাসার হত্যায় মামলা, ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
তিনি আরো বলেন, “ওই ঘটনায় নিহতরা হলেন- ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদননগর গ্রামের রাহাজ উদ্দিনের ছেলে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি জনযুদ্ধের (লাল পতাকা) সামরিক কমান্ডার হানিফ আলী (৫৬), তার শ্যালক একই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের উন্মাদ আলীর ছেলে লিটন হোসেন (৩৮) ও কুষ্টিয়া ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের আরজান হোসেনের ছেলে রাইসুল ইসলাম রাজু (২৮)।”
ওসি মাসুম খান বলেন, “ঘটনার পরদিন অর্থাৎ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে মরদেহ তিনটি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যতদূর জানি, রাতেই তাদের লাশ নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঝ ন ইদহ উপজ ল র ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’