ডিসেম্বরে ভোট করতে হলে অক্টোবরে তপশিল ঘোষণা করতে হবে: সিইসি
Published: 24th, February 2025 GMT
আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হলে অক্টোবরের মধ্যেই তপশিল ঘোষণা করতে হবে। তপশিল ঘোষণার কমপক্ষে দুই মাস আগে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন এ কথা বলেন।
রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, কমিশন সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসিরুদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দুটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। প্রথমটা আগামী ডিসেম্বর মাসে অপরটি ২০২৬ সালের জুন মাসে। এদিকে ছয়টি সংস্কার কমিশন মিলে একটি ঐক্যমত্ত কমিশন গঠন করে দেওয়া হয়েছে তাদের মেয়াদ আগামী ৬ মাস।
তিনি বলেন, এসব বিষয় মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। আমরা খুব জোরেসোরে কাজ শুরু করেছি। সেটা যাতে নির্বাচনই হোক আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনী হোক। নির্বাচন কোয়ালিটিসম্পন্ন না হলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, ১৭ লাখ মৃত ভোটার তালিকায় আছে। এসব কবরবাসীকে ভোটার তালিকা থেকে কাটা হয়নি। এসব কাজ সম্পন্ন করা সময়ের ব্যাপার। আর জুন নাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা পাওয়া যাবে। জুনের ভোটার তালিকা দিয়ে জুলাই মাসে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তারপরও সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ৫০টির বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আইনি জটিলতার কারণে এসব সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু অবাধ করতে হলে ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আইন ও বিধিমালা পরিবর্তন করতে হবে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, এখন যারা বোমা মারছে আগামী ডিসেম্বর আসতে আসতে তারা একটা মেসেজ পেয়ে যাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তপশ ল ড স ম বর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’