১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী হালিমাতুস সাদিয়া।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

সাদিয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার লোহালিয়া গ্রামে।

জানা গেছে, এবারের চুড়ান্ত নিয়োগ পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে মনোনীত ১০২ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা থেকে প্রাথমিকভাবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী জজ হিসেবে মনোনীত তিন শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়।

বাকি দুজন হলেন, আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী সুব্রত পোদ্দার ও ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী নূর-ই-নিশাত। তাদের মেধারক্রম ৪৭তম ও ৫২তম।

সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী হালিমাতুস সাদিয়া বলেন, “এ অর্জন শুধু আমার একার না। মা, বাবা, শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ সবার। সবচেয়ে আনন্দ লাগছে এই ভেবে যে, আমি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী হিসেবে অনান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এর থেকে আনন্দ আর কি হতে পারে।” তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

সহকারী জজে উত্তীর্ণ সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

শূচিতা শরমিন বলেন, “দারুণ একটি সুসংবাদ পেয়ে আমরা আবিভূত ও অত্যন্ত আনন্দিত। নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে আমাদের শিক্ষার্থীরা যেকোন জায়গায় যোগ্যতার প্রমাণ করতে পারে, তারই উদাহরণ সহকারী জজে চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান সংকট থাকা সত্ত্বেও তারা যোগ্যতার প্রমাণ করতে সচেষ্ট।” এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ য় প রথম সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

সচিবালয়মুখী শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মিছিলে পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ

নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

আজ রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) আওতায় দ্রুত নিয়োগের দাবিতে প্রেস ক্লাব থেকে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। তবে সচিবালয় এলাকায় আগে থেকে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ছিল বলে জানায় পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, মিছিলকারীরা ব্যারিকেড অতিক্রম করে সচিবালয়ের ফটকের কাছাকাছি চলে গেলে পুলিশ তাদের থামার অনুরোধ করে। আন্দোলনকারীরা সেই অনুরোধ না মানলে পুলিশ প্রথমে পাঁচটি ও পরে আরও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর বিক্ষোভকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে ফিরে অবস্থান নেন।

শাহবাগ থানার পেট্রোল অফিসার জয়নাল আবেদিন সমকালকে বলেন, সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। সচিবালয়ের দিকে এগোতে চাইলে মিছিলকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ কর হয়। এছাড়াও পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া এক নিবন্ধনধারী জানান, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। অথচ সরকার বারবার তা উপেক্ষা করছে। এনটিআরসিএ ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে অথচ আমাদের ১৭তম ব্যাচের সমস্যার সমাধান করছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিতে চাই।

তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—

১. ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।

২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।

৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এখনও আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে অবস্থান করছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ
  • সচিবালয়মুখী শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মিছিলে পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ