১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় প্রথম ববি শিক্ষার্থী সাদিয়া
Published: 24th, February 2025 GMT
১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী হালিমাতুস সাদিয়া।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সাদিয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার লোহালিয়া গ্রামে।
জানা গেছে, এবারের চুড়ান্ত নিয়োগ পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে মনোনীত ১০২ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা থেকে প্রাথমিকভাবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী জজ হিসেবে মনোনীত তিন শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়।
বাকি দুজন হলেন, আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী সুব্রত পোদ্দার ও ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী নূর-ই-নিশাত। তাদের মেধারক্রম ৪৭তম ও ৫২তম।
সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী হালিমাতুস সাদিয়া বলেন, “এ অর্জন শুধু আমার একার না। মা, বাবা, শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ সবার। সবচেয়ে আনন্দ লাগছে এই ভেবে যে, আমি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী হিসেবে অনান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এর থেকে আনন্দ আর কি হতে পারে।” তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
সহকারী জজে উত্তীর্ণ সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ য় প রথম সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
এর ফলে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই সুবিধা পাবেন। রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকারি চাকরিজীবীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। সংক্ষুব্ধ চাকরিজীবীদের এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
পরিপত্রে যা বলা হয়েছে
২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এক পরিপত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, একই পদে কর্মরত কোনো সরকারি কর্মচারী দুই বা তার চেয়ে বেশি টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে থাকলে নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী তিনি উচ্চতর গ্রেড পাবেন না। তবে ইতোমধ্যে একটিমাত্র টাইম স্কেল অথবা সিলেকশন গ্রেড পেলে নতুন স্কেলে শুধু একটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন।
পরিপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারীদের প্রদত্ত এসব আর্থিক সুবিধা কোনোক্রমেই ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বরের আগে দেওয়া হবে না। পরবর্তী সময়ে পরিপত্রের এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সংক্ষুব্ধ সরকারি চাকরিজীবীরা।
মূল পে-স্কেলে যা বলা আছে
সরকারি চাকরিতে নিচের স্তরের কর্মচারীদের পদোন্নতির সুযোগ সীমিত। এসব পদোন্নতিবঞ্চিতদের আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বহুল আলোচিত টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের পুরোনো প্রথা বাতিল করে। একইসঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চতর গ্রেড প্রথা প্রবর্তন করে। নতুন স্কেল অনুযায়ী, কোনো কর্মচারী একই পদে ১০ বছর চাকরি করার পর পদোন্নতি না পেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন। এরমধ্যে একটি পাবেন চাকরির ১০ বছর পর (১১তম বছরে)। আর অপরটি ১৬ বছর পর অর্থাৎ ১৭তম বছরে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মূল পে-স্কেলে এ বিধান করা হলেও এ সুবিধা কীভাবে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো দিক-নির্দেশনা ছিল না। এ প্রেক্ষাপটে মূল পে-স্কেলে উল্লেখিত নিয়ম কার্যকর করতে স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। মূল পে-স্কেল কার্যকর হওয়ার ৩ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে এটি জারি করা হয়।