আড়াইহাজারে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়া বসত ঘর ভাংচুরসহ লুটপাট করে নেয়া হয়েছে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দি হাজীবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে আক্রান্ত পরিবারের গৃহবধূ সুমি আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযাগের সূত্রে জানা যায় যে, সুমি আক্তারের স্বামী নজরুল ইসলাম একজন প্রবাসী। তার স্বামীর সঙ্গে বিবাদী একই গ্রামের জজ মিয়া, মোয়াজ্জল, শাহীন, আবদুল্লাহ, সালাউদ্দিন, জয়নাল উদ্দিন, জামাল ও জুয়েল গংদের সাথে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এ অবস্থায় স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে বিবাদী পক্ষের কেউ কেউ সুমি আক্তারকে বিভিন্ন সময়ে উত্যক্ত করতো। 

এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার সময় জজ মিয়ার নেতৃত্বে তাহার সহযোগিরা ধারারো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সুমির বাড়িতে অনধিকার প্রবেশের মাধ্যমে  হামলা করে সুমি, তার শ^শুর হাছেন, ননদ সোনিয়া, ননদের স্বামী হাছেন  এবং এক ভাসুর  কন্যাকে  তেহারুনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে এবং সুমি আক্তারকে মারাত্মক শ্লীলতাহানি করে। এ সময় হামলাকারীরা সুমির ঘর থেকে নগদ টাকা এবং এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানায়, অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ