আড়াইহাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৫
Published: 24th, February 2025 GMT
আড়াইহাজারে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়া বসত ঘর ভাংচুরসহ লুটপাট করে নেয়া হয়েছে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দি হাজীবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে আক্রান্ত পরিবারের গৃহবধূ সুমি আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযাগের সূত্রে জানা যায় যে, সুমি আক্তারের স্বামী নজরুল ইসলাম একজন প্রবাসী। তার স্বামীর সঙ্গে বিবাদী একই গ্রামের জজ মিয়া, মোয়াজ্জল, শাহীন, আবদুল্লাহ, সালাউদ্দিন, জয়নাল উদ্দিন, জামাল ও জুয়েল গংদের সাথে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এ অবস্থায় স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে বিবাদী পক্ষের কেউ কেউ সুমি আক্তারকে বিভিন্ন সময়ে উত্যক্ত করতো।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার সময় জজ মিয়ার নেতৃত্বে তাহার সহযোগিরা ধারারো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সুমির বাড়িতে অনধিকার প্রবেশের মাধ্যমে হামলা করে সুমি, তার শ^শুর হাছেন, ননদ সোনিয়া, ননদের স্বামী হাছেন এবং এক ভাসুর কন্যাকে তেহারুনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে এবং সুমি আক্তারকে মারাত্মক শ্লীলতাহানি করে। এ সময় হামলাকারীরা সুমির ঘর থেকে নগদ টাকা এবং এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানায়, অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’