সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) চারটি মহাসড়ক ও আটটি সেতুর নাম পরিবর্তন করেছে সরকার। শেখ প‌রিবা‌রের সদস‌্যদের নাম বাদ দেওয়া হ‌য়ে‌ছে এসব স্থাপনা থে‌কে। 

সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জা‌রি ক‌রে‌ছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসও‌য়ে’ থে‌কে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেস নাম পুনর্বহাল করা হয়েছে। 

সিলেটে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’কে আগের না‌মে ফি‌রি‌য়ে নেওয়া হ‌য়ে‌ছে। বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ জাতীয় মহাসড়কের নাম পুনর্বহাল করা হয়েছে। 

মাদারীপুর (মোস্তফাপুর)-ভায়া কাজিরটেক ব্রিজ হয়ে শরীয়তপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ২২২ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কের নাম ‘শেখ হাসিনা মহাসড়ক’ থেকে পরিবর্তন করে ‘কাজীরটেক ব্রিজ-শরীয়তপুর মহাসড়ক’ করা হয়েছে। 

চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কের নাম ‘শেখ হাসিনা সরণি’ থেকে পরিবর্তন করে বড়তাকিয়া (আবুতোরাব)-মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়ক করা হয়েছে। 

পীরগঞ্জ উপজেলার কাঁচদহঘাটে করতোয়া নদীতে নির্মিত সেতুর নাম ‘ওয়াজেদ মিয়া সেতু থে‌কে ‘কাঁচদহ সেতু’ নামে পুনর্বহাল করা হয়েছে। 

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে আন্দারমানিক নদীতে নির্মিত সেতুর নাম ‘শেখ কামাল ‌সেতু’ থেকে পরিবর্তন করে ‘আন্দারমানিক সেতু’ নামকরণ করা হয়েছে। 

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে সোনাতলা নদীর উপর নির্মিত সেতুর নাম ‘শেখ জামাল ‌সেতু’ থে‌কে পরিবর্তন করে ‘সোনাতলা সেতু’ নামকরণ করা হয়েছে। 

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের খাপড়াভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নাম ‘শেখ রাসেল সেতু’ থে‌কে পরিবর্তন করে ‘খাপড়া ভাঙ্গা সেতু’ রাখা হয়েছে। 

পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলায় বলেশ্বর নদীতে নির্মিত সেতুর নাম ‘শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি’ সেতু থে‌কে পরিবর্তন করে ‘ইন্দুরকানি সেতু’ রাখা হয়েছে। 

রাজাপুর-নৈকাঠী-বেকুটিয়া-পিরোজপুর জেলা মহাসড়কের বেকুটিয়া পয়েন্টে কঁচা নদীতে নির্মিত সেতুর নাম ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সেতু’ থে‌কে ‘বেকুটিয়া সেতু’ রাখা হয়েছে। 

দ্বিতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নাম ‘সুলতানা কামাল সেতু’ থেকে ‘ডেমরা সেতু’ রাখা হয়েছে এবং বরিশালে দপদপিয়া সেতুর নাম ‘শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ সেতু’ থেকে ‘দপদপিয়া সেতু’ রাখা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ