খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি মনা, সম্পাদক তুহিন
Published: 24th, February 2025 GMT
খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে অ্যাডভোকটে শফিকুল আলম মনা সভাপতি এবং শফিকুল আলম তুহিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কাউন্সিলর অধিবেশনে ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা করেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু ও চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ বিজয়ী হয়েছেন।
কাউন্সিলে সভাপতি পদে শফিকুল আলম মনা ২৯৯ ভোট, তরিকুল ইসলাম জহির ১৮৯ ভোট এবং সাহাজি কামাল টিপু ৩ ভোট পেয়েছেন। ৬টি ভোট বাতিল হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে শফিকুল আলম তুহিন ২৮৮ ভোট, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর ২০৩ ভোট এবং কাজী মাহমুদ আলী ২ ভোট পেয়েছেন। ৬টি ভোট বাতিল হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সরকারের ওপর জঙ্গি-ভূত ভর করেছে: সোহেল
তর্ক-বিতর্কে যেন স্বৈরাচার সুযোগ পেয়ে না যায়: তারেক রহমান
কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৬ প্রার্থীর মধ্যে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ সাদী ৩৭০ ভোট, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু ২৬০ ভোট এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা হাসানুর রশিদ মিরাজ ২৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
অন্য তিন প্রার্থীর মধ্যে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু ১৭৬ ভোট, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শের আলম সান্টু ১০৬ ভোট এবং সাবেক যুবদল নেতা তারিকুল ইসলাম তারেক ৭৮ ভোট পান। ৪টি ভোট বাতিল করা হয়েছে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত নেতা গ্রেপ্তার
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম ওরফে অপুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে জানে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
আরও পড়ুনচাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাসহ আটক ৫২৬ জুলাই ২০২৫মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় জানে আলম জড়িত।
গত ১৭ জুলাই গুলশানে আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেন আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদসহ কয়েকজন। তাঁরা শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সিদ্দিক আবু জাফর ১০ লাখ টাকা চাঁদা দেন। গত শনিবার রাতে চাঁদার বাকি টাকা আনতে যান তাঁরা। ঘটনাস্থল থেকে রাজ্জাকসহ পাঁচজন পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। বাকি চারজন হলেন ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন। ঘটনাটিতে গুলশান থানায় মামলা করেছেন সিদ্দিক আবু জাফর। মামলার এজাহারে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের বাইরে অপু নামের একজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আর প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় আরেকজনকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুনপ্রথমে পুলিশ নিয়ে বাসায়, পরে হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেন বৈষম্যবিরোধী নেতারা ২৮ জুলাই ২০২৫রাজ্জাক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। চাঁদাবাজির ঘটনায় জানে আলম ও আবদুর রাজ্জাক উভয়কে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে।
পুলিশ জানায়, শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার পর রাজ্জাকসহ কয়েকজন তা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। নিজের ভাগের পাঁচ লাখ টাকা রাজ্জাক তাঁর বাড্ডার ভাড়া বাসায় (মেস বাসা) রাখেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুনচাঁদাবাজির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ জন ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ২ জন বহিষ্কার২৬ জুলাই ২০২৫এর আগে গত বুধবার ডিএমপির এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজ্জাকের একটি ভাড়া বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার ৪টি চেক উদ্ধার করা হয়েছে। এটি বাসাটি পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায় অবস্থিত বলে গতকাল জানায় গুলশান থানা–পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এই সোয়া দুই কোটি টাকার চেক নেওয়া হয় রংপুর-৬ আসনের (পীরগঞ্জ) আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ট্রেড জোন’ থেকে।
আরও পড়ুনসমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি: আবদুর রাজ্জাকসহ চারজন সাত দিনের রিমান্ডে২৭ জুলাই ২০২৫