চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকে দেখেন মেঝেতে পড়ে আছে বোনের রক্তাক্ত মরদেহ
Published: 24th, February 2025 GMT
নোয়াখালী সদর উপজেলায় বসতঘরে ঢুকে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত নারীর নাম তাসলিমা বেগম (৫৪)। আজ সোমবার রাত আনুমানিক পৌনে নয়টার দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়াল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে সুধারাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কে বা কারা ওই নারীকে হত্যা করেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। পরিবারের দাবি, হয়তো ডাকাতি করতে এসে ডাকাতেরা তাঁকে হত্যা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত নারীর ছোট ভাই আহসান উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাড়ির একটি ঘরে তাঁর বোন তাসলিমা বেগম একাই থাকতেন। আজ রাত সাড়ে আটটা থেকে পৌনে নয়টার দিকে তিনি এশার নামাজের জন্য অজু করে ঘরে ফেরেন। এরই মধ্যে ঘরের ভেতর থেকে চিৎকার শুনতে পান আশপাশের ঘরের বাসিন্দারা। তাৎক্ষণিক তাঁরা ছুটে এসে দেখেন ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর বোন পড়ে আছেন। একই সময় ঘরে একটি রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র (ধামা) পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আহসান উল্লাহ জানান, প্রতিবেশীরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁর বোনকে উদ্ধার করে জেলা শহর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, তাঁদের কোনো শত্রু নেই। সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকেন। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। হয়তো কেউ ডাকাতির উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে তাঁর বোনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করছেন তিনি।
ঘটনাস্থলে থাকা সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা বাড়ির কেউ দেখেনি। তাঁরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছেন। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’