চাকরি খোঁজার এআই টুল আনছে গুগল
Published: 25th, February 2025 GMT
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর। চাকরি খোঁজা এবং আবেদনের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) টুল চালু করতে যাচ্ছে গুগল। ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার’ নামের এ টুলটি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা ও আগ্রহ বিশ্লেষণ করে সঠিক চাকরির সন্ধান দেবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গুগলের তথ্য মতে, ক্যারিয়ার ড্রিমার টুলটি ব্যবহারকারীদের নিজস্ব দক্ষতা চিহ্নিত করতে এবং সেগুলোকে পেশাগত জীবনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করবে। চাকরি বাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করে পেশা গঠনেও সহায়তা করবে টুলটি। এমনকি সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি নিতেও ভূমিকা রাখবে।
জেমিনি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে টুলটি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ভালো মানের কভার লেটার লিখে দেওয়ার পাশাপাশি জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করে দেবে। তবে প্রচলিত চাকরি খোঁজার প্ল্যাটফর্ম যেমন লিংকডইন বা ইনডিডের মতো সরাসরি চাকরির বিজ্ঞাপনের লিংক দেখাবে না টুলটি। এটি ব্যবহারকারীদের নিজস্ব যোগ্যতার ভিত্তিতে সম্ভাব্য চাকরির তালিকা দেখাবে।
ক্যারিয়ার ড্রিমার টুলটি ব্যবহারকারীর পেশাগত যোগ্যতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন ক্যারিয়ার গঠনের দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় চাকরির সন্ধান দেবে। ব্যবহারকারী যদি নতুন কোনো পেশার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তবে সে তথ্যও জানাবে। এরই মধ্যে টুলটি পরীক্ষামূলকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে চালু করা হয়েছে। তবে এটি অন্যান্য দেশে কবে নাগাদ চালু হবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি গুগল।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ কর র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’