দুই হ্যাভিওয়েটের লড়াই আজ, আরও একটি রান বন্যার অপেক্ষা
Published: 25th, February 2025 GMT
বিশ্বকাপজয়ী দলের সাতজনই নেই; তার পরও অস্ট্রেলিয়া কতটা শক্তিশালী, তা এতদিনে দেখে নিয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড ৩৫৬ করে রীতিমতো রেকর্ড ভেঙে ম্যাচ জিতেছে অসিরা। আজ সেই অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রাওয়ালপিন্ডিতে এই ম্যাচটি জিতলেই সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত। চ্যাম্পিয়ন মানসিকতার এই অসিদের সামনে কম যাবে না প্রোটিয়ারাও। প্রথম ম্যাচেই তারা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩১৫ রান তুলেছে।
আজকের ম্যাচে দু’দলের কিছু তারকার মধ্যে খণ্ড লড়াইয়ের ক্রিকেটীয় আনন্দ উপভোগ করতে পারেন দর্শকরা। যেমন প্রোটিয়া বোলার কাগিসো রাবাদার সঙ্গে অসি ওপেনার ট্রাভিস হেড। দু’জনের মধ্যে দেখা হয়েছে মোট আটটি ওয়ানডেতে। যেখানে রাবাদা তিনবার আউট করেছেন হেডকে।
অন্যদিকে প্রোটিয়া স্পিনার কেশব মহারাজের সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং লড়াই হতে পারে জশ ইংলিসের। এই মুহূর্তে ইনিংসের মিডল ওভারগুলোতে প্রোটিয়াদের মধ্যে সবচেয়ে ইকোনমি বোলার কেশব। অন্যদিকে বাঁহাতি স্পিনে দুর্বলতা রয়েছে অসি ব্যাটারের। ইংলিস তাঁর ১১ ম্যাচের ওয়ানডেতে মোট তিনবার বাঁহাতি স্পিনারের শিকার হয়েছেন। জমতে পারে অসি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ও প্রোটিয়া ব্যাটার অ্যাডাম মার্করামের মধ্যেও। জাম্পার সঙ্গে এই ফরম্যাটে মোট ছয়বার মুখোমুখি হয়েছেন মার্করাম। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১১৫.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত