বিশ্বকাপজয়ী দলের সাতজনই নেই; তার পরও অস্ট্রেলিয়া কতটা শক্তিশালী, তা এতদিনে দেখে নিয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড ৩৫৬ করে রীতিমতো রেকর্ড ভেঙে ম্যাচ জিতেছে অসিরা। আজ সেই অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রাওয়ালপিন্ডিতে এই ম্যাচটি জিতলেই সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত। চ্যাম্পিয়ন মানসিকতার এই অসিদের সামনে কম যাবে না প্রোটিয়ারাও। প্রথম ম্যাচেই তারা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩১৫ রান তুলেছে।

আজকের ম্যাচে দু’দলের কিছু তারকার মধ্যে খণ্ড লড়াইয়ের ক্রিকেটীয় আনন্দ উপভোগ করতে পারেন দর্শকরা। যেমন প্রোটিয়া বোলার কাগিসো রাবাদার সঙ্গে অসি ওপেনার ট্রাভিস হেড। দু’জনের মধ্যে দেখা হয়েছে মোট আটটি ওয়ানডেতে। যেখানে রাবাদা তিনবার আউট করেছেন হেডকে। 

অন্যদিকে প্রোটিয়া স্পিনার কেশব মহারাজের সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং লড়াই হতে পারে জশ ইংলিসের। এই মুহূর্তে ইনিংসের মিডল ওভারগুলোতে প্রোটিয়াদের মধ্যে সবচেয়ে ইকোনমি বোলার কেশব। অন্যদিকে বাঁহাতি স্পিনে দুর্বলতা রয়েছে অসি ব্যাটারের। ইংলিস তাঁর ১১ ম্যাচের ওয়ানডেতে মোট তিনবার বাঁহাতি স্পিনারের শিকার হয়েছেন। জমতে পারে অসি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ও প্রোটিয়া ব্যাটার অ্যাডাম মার্করামের মধ্যেও। জাম্পার সঙ্গে এই ফরম্যাটে মোট ছয়বার মুখোমুখি হয়েছেন মার্করাম। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১১৫.

৬৮। অন্যদিকে জাম্পা কেবল একবারই তাঁকে আউট করতে পেরেছেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: এবার কাদের বিপক্ষে, কবে খেলবে বাংলাদেশ?

আইসিসির বৈশ্বিক টেস্ট লিগ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। তিনটি সফল চক্র শেষে চতুর্থ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র, ২০২৫-২৭ মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা। মঙ্গলবার (১৭ জুন) গলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট দিয়ে শুরু হবে চতুর্থ চক্রের খেলা।

প্রতিটি দল দুই বছরের মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলবে। যার তিনটি দেশের মাটিতে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। প্রতিটি সিরিজ হবে কমপক্ষে দুই টেস্টের। সর্বোচ্চ পাঁচটি টেস্ট থাকতে পারবে এক সিরিজে। এই সময়ে সিরিজ হবে মোট ২৭টি, যেখানে টেস্টের সংখ্যা ৭১টি। ২০২৭ সালের জুনে লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল। শেষ তিন আসরের মতো ইংল্যান্ডেই বসবে সাতাশের ফাইনাল। সম্ভাব্য ভেন্যু লর্ডস।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে বাংলাদেশ সাতটি ম্যাচ খেলেছিল। জিততে পারেনি কোনো ম্যাচ। ড্র করেছিল একটি। হেরেছিল ছয়টি। পরের চক্রে ১২ ম্যাচে মাত্র ১ জয়, ১০টাতেই হার।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট পরিসংখ‌্যান

বাংলাদেশের বিপক্ষে হোম সিরিজে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দল ঘোষণা

সর্বশেষ টেস্ট চক্রে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ দেশের বাইরে, একটি দেশের মাটিতে জিতেছে। সব মিলিয়ে ১২ ম্যাচে চারটিতে জিতেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল। এছাড়া নিউ জিল্যান্ডকে দেশের মাটিতে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদেশে হারিয়েছিল।

এবারের চক্রে বাংলাদেশ ১২টি ম্যাচ খেলবে। মোট ছয়টি সিরিজ। তিনটি দেশের বাইরে, তিনটি দেশের মাটিতে। দেশের বাইরে বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার পর কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। কেননা দুটি সফরই শেষবারের দুই ফাইনালিস্টদের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। এছাড়া ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে দেশের মাটিতে।    

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই টেস্টের পর বাংলাদেশকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের ম্যাচের জন্য ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পাকিস্তান ২০২৬ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফর করবে। ২টি টেস্ট বাদেও ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। ওই বছরের অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আতিথেয়তা দেবে। নভেম্বর বাংলাদেশ যাবে দক্ষিণ আফ্রিকায়।

এরপর ২০২৭ সালে ইংল্যান্ড দুই টেস্টের জন্য আসবে ফেব্রুয়ারিতে। মার্চে বাংলাদেশ যাবে অস্ট্রেলিয়া সফরে। ২০০৩ সালের পর ২০২৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্র শেষ হবে।

নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা গত বছর (চক্রে) ৭ নম্বরে শেষ করেছি। এই বছর তো অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে যেন ৪-৫-৬ নম্বরের মধ্যে আসতে পারি। তাহলে খুব ভালো হয়।”

“গত বছর (চক্রে) জয়ের হার সম্ভবত ৪৫ শতাংশ (আসলে ৪৫ পয়েন্ট ও ৩১.২৫ শতাংশ) ছিল। এখান থেকে যদি বাড়াতে পারি—৫০-৫৫ বা ৬০ শতাংশ হলে, একজন অধিনায়ক হিসেবে আমার মনে হয়, ভালো একটা ফল হবে আমাদের।”– যোগ করেন শান্ত।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ