সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি এবং তাদের তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান এবং আদিভা নাঈম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আফরোজা হক খান এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ভিন্ন কোনো উৎস অর্থাৎ ঘুষ বা অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জন করে তা আড়াল করার অভিযোগ আছে। তার, স্ত্রীর ও তাদের তিন মেয়ের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা ও ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আছে এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। অবৈধ অর্থ পাচারসহ নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুই সদস্যের দল গঠন করা হয়। 

দুদকের আবেদনে আরো বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে নিজ বাড়ির পাশে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

রাজশাহীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নগরের বুধপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত হাসান আলী মতিহার থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক। তিনি বুধপাড়া এলাকার হাসমত আলীর ছেলে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ শংকর কে বিশ্বাস বলেন, রাত সোয়া ১২টার দিকে তাঁকে (হাসান আলী) জরুরি বিভাগে গুরুতর আহত অবস্থায় আনা হয়। তাঁর মাথায়, চোয়ালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাঁকে মেডিকেলের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর হাসান আলী এলাকাছাড়া ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি বাড়িতে ফিরেছেন। এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরছিলেন তিনি। গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে বুধপাড়ায় নিজ বাড়ির পাশে হাসান আলীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এরপর দ্রুত তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ঘটনার খবর শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তখন সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। ওই ব্যক্তিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ