জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, ‘‘ওয়ার্ল্ডের মধ্যে এত কম ট্যাক্স কোনো জাতি দেয় না। এটা কিন্তু সত্য কথা। আমরা একটা ঋণগ্রস্ত জাতিতে পরিণত হয়েছি। কারণ, আমরা ৫২-৫৩ বছর ধরে প্রতিবছর ঋণ করে করে আমাদের বাজেট বড় হয়েছে। সেই ঋণের কিস্তি দেওয়া এবং এর সুদ দেওয়া বিরাট বারডেন হয়ে গেছে।’’

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে রাজশাহী বিভাগের সব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। রাজশাহী চেম্বার এর আয়োজন করে।

সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘‘আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে হবে। না হলে এই দেশ এগোতে পারবে না। আমরা এখন অটোমেশনের দিকে জোর দিচ্ছি। সারাদিনের সব চিন্তা আমাদের অটোমেশিনকেন্দ্রীক। এবার ১৪ লাখ ৩২ হাজার মানুষ অনলাইনে রিটার্ন দিয়েছেন।’’

ট্যাক্স আদায়ে জোর দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আমাদের ১ কোটি ১২ লাখ টিআইএনধারী আছে। রিটার্ন দেয় ৪০ লাখ। তার মধ্যে ২৫-২৬ লাখই খুব একটা ট্যাক্স দেয় না, দিলেও একেবারে মিনিমাম ট্যাক্স। আর বাকিদের আমরা চেইজ করতে পারছি না। এটা নিয়ে আমরা সিরিয়াসলি কাজ করছি। প্রতিদিন এক ঘণ্টা কমিশনারদের সঙ্গে জুম মিটিং করছি। যারা রিটার্ন দিচ্ছেন না, তাদের নোটিশ করা হোক। তাদের অর্থের ট্রানজেকশন ট্র্যাক করা হোক। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্পদ খোঁজা হোক।’’

প্রাক-বাজেট সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু। সভায় এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ব্যবসায়ীরা সভায় তাদের মতামত তুলে ধরেন।

ঢাকা/কেয়া/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ