কাঠেরপুলে মাদক চক্রের শেল্টারদাতা কাস্টম কর্মকর্তা মারুফের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
Published: 25th, February 2025 GMT
কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ) এর উপ পরিদর্শক মারুফ হাসান এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন কুতুব আইল-কাঠেরপুল এলাকাবাসী। এসময় তারা স্লোগান দেয়, 'মারুফের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে'। 'মাদকের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও'।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কাঠেরপুল এলাকার স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী এই বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জোরপূর্বক মানুষের রুম দখল করে এলাকায় মাদকের আড্ডা বসিয়ে রেখেছে মারুফ। এমনকি মাদক কারবারিদের শেল্টার দেয় সে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে এলাকাবাসী। মাদক, ঝুট সন্ত্রাস সহ এমন কোন অপকর্ম নেই যা সে করে না।
নিজেকে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় যা খুশি তাই করে বেড়ায় সে। কেউ কোন বিষয়ে প্রতিবাদ করলে পুলিশ, ডিবির ভয় দেখায় সে।
এসময় শতদল সমাজ কল্যাণ এর আহবায়ক গুলজার হোসেন বলেন, মারুফ নিজেকে প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। পুরো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে।
আমরা কাস্টমস এর উর্ধ্বতন কর্মকতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আপনাদের এই সরকারি চাকরিজীবি মারুফ একজন মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসী। ওর ডোপ টেস্ট করানো হোক। তাহলেই আপনারা বুঝতে পারবেন মারুফ কতো বড় মাদকাসক্ত।
এমন মাদকাসক্ত উগ্র মেজাজের মানুষ কাস্টমস এ কাজ করে কিভাবে? অতি দ্রুত এই মাদকাসক্তকে চাকরি থেকে অপসারণ করুন। তা না হলে এই অন্যায়, জুলুম মেনে নেবে না এলাকাবাসী।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক ব স
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস