বার্সালোনার বিপক্ষে মাদ্রিদের যে কোন দলের লড়াই মানেই মহারণ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) কোপা দেল রে’র ম্যাচে আরও একবার সেই ধরনের উত্তাপ ছড়াল স্পেনের এই দুই শহরের লড়াই। যেখানে রোলার কোস্টারের মতো এক বার এই দল উপরে তো আরেক বার নিচে। মাঠের দর্শকরা নড়েচড়ে বসার আগেই বার্সালোনার জালে দুইবার বল জড়িয়ে দেয় অ্যাটলেতিকো মাদ্রিদ। খাদের কিনারা থেকে লড়াই করে কাতালান জায়ান্টরা কেবল সমতাতে ফিরেনি, এগিয়ে গেল দুই গোলের ব্যবধানে!

এরপর ম্যাচের ৮২ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বার্সাকে স্তব্ধ করে দিয়ে ৪-৪ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে অ্যাটলেতিকো। কোপা দেল রে’র সেমিফাইনালের প্রথম লেগের রোমাঞ্চের পর অবশ্য দুই ধরনের অনুভূতি দুই কোচের।

বার্সালোনার অলেম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সদরকারীদের এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেজ। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফরাসি সুপারস্টার আঁতোয়া গ্রিজমান।

আরো পড়ুন:

দিস ইজ নট ফুটবল, দিস ইজ লা লিগা! 

দশ জনের দল নিয়েও বার্সার বড় জয় 

এমন পরিস্থিতি থেকেও ম্যাচের লাগাম বার্সেলোনা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। দুই গোল হজম করার ১৩ মিনিটের মাথায় পেদ্রি গোল করে ব্যবধান কমান। ২১ মিনিটে পাও কুবারসি গোল সমাত ফিরে বার্সা। এমনকি বিরতির আগেই এগিয়ে যায় কাতালান জায়ান্টরা। ম্যাচের ৪১তম মিনিটে কর্নার থেকে ইনিয়াগো মার্তিনেজের হেড লিড এনে দেয় স্বাগতিকদের।

দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে লামিন ইয়ামাল দুর্দান্ত একক নৈপুন্যে অ্যাটলেতিকোর কয়েকজনকে ফাঁকি দিয়ে বল পাঠান  রবার্ট লেভানডফস্কির কাছে। ট্যাপ-ইন করতে ভূল করেননি এই পোলিশ স্ট্রাইকার। তাতে ব্যবধান ৪-২ করে ফেলে বার্সা।

এরপরের গল্পটা অ্যাটলেতিকোর। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে মার্কোস ইয়োরেন্তে গোল করে ব্যবধান কমান। তবে তখনও এক গোলে পিছিয়ে আছে দিয়াগো সিমিওনের দল। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আলেকজান্ডার সোরলোথে এক দুর্দান্ত কাউন্টার-অ্যাটাকে গোল করে সফরকারীদের সমতায় ফেরায়। 

এমন এক দারুণ প্রত্যাবর্তন করে ম্যাচ ড্র করার পেছনে দলের খেলোয়াড়দের মূল ভূমিকা দেখছেন অ্যাটলেতিকো বস সিমিওনে, “দলগত একাত্মতা আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে। গ্লাডিয়েটরদের মতো মানসিকতা আমাদের খেলোয়াড়দের। অবিশ্বাস্য! বার্সেলোনা দলটা সাধারণ, তবে আমরাও কম নই।”

অন্যদিকে নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হেরে বার্সার জার্মান কোচ হান্সি ফ্লিক স্বভাবিকভাবেই খুশি না, “ আমি হতাশ, কারণ শুরুতে ২ গোল হজমের পরও আমরা কী দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছিলাম। একটা সময় ৪-২ গোলে এগিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা এত সুযোগ তৈরি করার পরও সবকিছুই বৃথা। শেষ কয়েক মিনিটে আমরাই ওদের (অ্যাটলেতিকো) ফেরার সুযোগ করে দিয়েছি।”

১৬ মার্চ দিবাগত রাতে অ্যাটলেতিকোর মাঠে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল আতল ত ক ম দ র দ ব যবধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা