দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও অধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাণিজ্য সচিব বলেছেন, “রমজান মাসে ভোক্তাদের স্বস্তিতে রাখতে যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এখন আমাদের অগ্রাধিকার।” 

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। 

মাহবুবুর রহমান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে যোগ দেওয়ার পর এটাই কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সভা। 

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন এ এইচ এম আহসান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড.

মইনুল খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান, অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, বাণিজ্য সংগঠন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব (ডব্লিউটিও) ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার এবং টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। 

গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাহবুবুর রহমানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পদোন্নতির আদেশ জারি করে। তিনি ১৩তম বিসিএস শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারের সদস্য। এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মাহবুবুর রহমান।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ