নারায়ণগঞ্জে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
Published: 26th, February 2025 GMT
র্যাব পরিচয়ে নারায়ণগঞ্জ বন্দরে যাত্রীবাহী বাসের গতি রোধ করে দুই প্রবাসীকে তুলে নিয়ে ডাকাতির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ডেমরা থানার আমিনবাগ বাঁশেরপুল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আবদুল হক ওরফে স্বপন (৪৫)। তাঁকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১–এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম।
মেজর অনাবিল ইমাম বলেন, ১৪ জানুয়ারি আবু হানিফ ও রাজীব ভূঁইয়া নামের দুজন দুবাইপ্রবাসী বন্দর থেকে একটি বাসে করে কুমিল্লায় যাচ্ছিলেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কেওডালায় পৌঁছালে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে করে ডাকাতেরা ওই বাসের গতি রোধ করে। তারা ওই দুজনকে বাস থেকে নামিয়ে মাইক্রোবাসে তোলে। তাঁদের হাত পা বেঁধে মারধর করে ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, দুটি মুঠোফোন, তিনটি পাসপোর্ট, জামাকাপড় ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। এরপর ৩–৪ ঘণ্টা ঘুরিয়ে সন্ধ্যায় ঢাকার ডেমরা এলাকার একটি পরিত্যক্ত রাস্তার পাশে দুজনকে রেখে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবু হানিফ বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, র্যাব পরিচয় দিয়ে তাঁদের তুলে নিয়ে মারধর করে টাকা ও মালপত্র লুট করা হয়েছে।
মেজর অনাবিল ইমাম আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আবদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ওই চক্রের আরেক সদস্য বশির আহমেদকে (৫২) ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। আবদুল হকের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় একটি পর্নোগ্রাফি ও কেরানীগঞ্জ থানায় দুটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।