বেসরকারি সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি কক্সবাজারে গ্রিন স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ইন রিফিউজি ক্যাম্পস প্রকল্পে টেকনিক্যাল ম্যানেজার পদে কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: টেকনিক্যাল ম্যানেজার

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্স, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, সমাজবিজ্ঞান বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্টে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। উল্লিখিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। লাইভলিহুড প্রোগ্রামে টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও ব্যবস্থাপনায় অন্তত পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার গ্রিন স্কিলস, ক্লাইমেট-স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার, মার্কেটসংক্রান্ত ভোকেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ইয়ুথ এমপ্লয়মেন্টে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অন্তত তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। স্থানীয় ভাষা জানা থাকলে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। অ্যানালিটিক্যাল দক্ষতা থাকতে হবে। উইন্ডোজ, এমএস অফিস, ই-মেইলসহ সংশ্লিষ্ট ডেটাবেজের কাজ জানতে হবে। ফিল্ড ভিজিটের মানসিকতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল: উখিয়া ফিল্ড অফিস, কক্সবাজার

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

বেতন: মাসিক বেতন ১,৫৮,৪৪৫ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Online বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ৫ মার্চ ২০২৫।

আরও পড়ুনস্যাটেলাইট কোম্পানিতে একাধিক পদে চাকরি, সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ৭ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনসুইডেনের ফুল-ফান্ডেড ৭৫০ স্কলারশিপ, জীবনযাপন খরচ, ভ্রমণ ব্যয়ের সঙ্গে নানা সুযোগ১৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড ভ লপম ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ