বান্দরবানে জেলা শহর ও শহরতলিতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু ও তিনজন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বান্দরবান সদর থানার কর্মকর্তারা হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি মানুরটেক এলাকার বাঁকে পুলিশের রেশনবাহী একটি ট্রাক উল্টে যায়। ট্রাকটি চট্টগ্রাম থেকে রেশন নিয়ে বান্দরবান পুলিশ লাইনসে যাচ্ছিল। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে মানুরটেকের বাঁক ঘোরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে যায়। ট্রাকের চাপায় চালক শামসুল আলম (৩৯) ঘটনাস্থলে মারা যান। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মণ্ডলসেন গ্রামে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বান্দরবান জেলা পুলিশের রেশন ইনচার্জ ইকবাল হোসেন চৌধুরী।

অপর দিকে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা শহরতলির হলুদিয়ার বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি সিমেন্টবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের চালকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মোহাম্মদ হোসেন (৩৫)। তাঁর বাড়ি বান্দরবান সদর ইউনিয়নের গোয়ালিয়াখোলা গ্রামে। ওই মোটরসাইকেলে নিহত মোহাম্মদ হোসেনসহ তিন যাত্রী ছিলেন। তাঁরা চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীহাট থেকে বান্দরবান আসছিলেন। পথে হলুদিয়া এলাকায় তাঁরা দুর্ঘটনায় পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের উদ্ধার করে কেরানীহাটের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে মোটরসাইকেলের চালক মোহাম্মদ হোসেনের মৃত্যু হয়। মোটরসাইকেলের অপর দুই আরোহী সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের নাম জানা যায়নি।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মাসুদ পারভেজ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহত একজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরেকজনের লাশ কেরানীহাটের একটি ক্লিনিকে রয়েছে। আহত তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন সদর দ র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ