জিমেইলে থাকছে না এসএমএস ভেরিফিকেশন, আসছে কিউআর কোড
Published: 26th, February 2025 GMT
জিমেইল অ্যাকাউন্টে থাকা তথ্য চুরি করতে নিয়মিত সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে হ্যাকাররা। তাই সাইবার হামলা থেকে ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে দুই স্তরের নিরাপত্তা–সুবিধা রয়েছে জিমেইলে। এ সুবিধা চালু থাকলে পাসওয়ার্ড লেখার পর ব্যবহারকারীর ফোনে বার্তা বা কোড পাঠানো হয়। কোডটি ব্যবহার করেই শুধু অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যায়। তবে এবার এসএমএস ভেরিফিকেশনের বদলে দুই স্তরের নিরাপত্তা–সুবিধায় কিউআর কোডভিত্তিক নতুন পদ্ধতি যুক্ত করতে যাচ্ছে গুগল।
গুগলের দাবি, দুই স্তরের নিরাপত্তা–সুবিধায় এসএমএস ভেরিফিকেশনের পরিবর্তে কিউআর কোডভিত্তিক নতুন পদ্ধতি যুক্ত হলে জিমেইলে অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আরও বাড়বে। এর ফলে ফিশিং বা সাইবার আক্রমণ থেকে বর্তমানের তুলনায় নিরাপদ থাকবেন ব্যবহারকারীরা।
আরও পড়ুনজিমেইলে ই-মেইল শিডিউল করে রাখবেন যেভাবে১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫জিমেইলে এসএমএস ভেরিফিকেশনের পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়ে গুগলের মুখপাত্র রস রিচেনডরফার বলেন, ‘এসএমএস কোড এখন ব্যবহারকারীদের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করছে। আমরা এমন একটি আধুনিক ও নিরাপদ পদ্ধতি চালু করছি, যা সাইবার হামলার ঝুঁকি কমিয়ে ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখবে। নতুন এ পদ্ধতিতে এসএমএসে ছয় অঙ্কের কোডের পরিবর্তে ব্যবহারকারীদের কাছে একটি কিউআর কোড পাঠানো হবে। স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়ে কোডটি স্ক্যান করলেই পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে এ পদ্ধতি চালু করা হবে।’
আরও পড়ুনজিমেইলের এই পাঁচ সুবিধার কথা জানেন তো০২ জুলাই ২০২৪গুগলের তথ্যমতে, বিভিন্ন দেশে মোবাইল অপারেটরদের নিরাপত্তার মানদণ্ড ভিন্ন হওয়ায় এসএমএস পদ্ধতি পুরোপুরি সুরক্ষিত নয়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ‘ট্রাফিক পাম্পিং’ বা ‘টোল ফ্রড’ নামে নতুন ধরনের প্রতারণার প্রবণতা বাড়ছে। এ ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে ফোন নম্বরে ভুয়া যাচাইকরণ কোড পাঠিয়ে অর্থ উপার্জন করে সাইবার অপরাধীরা। নতুন যাচাইকরণ পদ্ধতিতে এ ধরনের প্রতারণার সুযোগও কমবে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
আরও পড়ুনজিমেইলে কয়েক বছর আগের ই-মেইল খুঁজে পাবেন যেভাবে০২ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক উআর ক ড ব যবহ র ন র পদ ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
যবিপ্রবি’র সাবেক ভিসি ড. আব্দুস সাত্তার কারাগারে
দুদকের মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ জুন) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম।
আজ (সোমবার) এই মামলার ধার্য তারিখে হাজির হয়ে তিনি জামিনের আবেদন জানান। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে এ মামলার অপর দুই আসামি জামিনে রয়েছেন । তারা হলেন- যবিপ্রবির উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন। মামলার তদন্ত শেষে উল্লিখিতদের অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আর এক সদস্য ছিলেন ইবির উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন। একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এসময় আরও তিন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু কাউকে পাস করানো হয়নি।
বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক ভিসি ড. আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।
আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে এবং ২০২১ সালে উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। অবৈধ নিয়োগের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা/রিটন/টিপু