জিমেইল অ্যাকাউন্টে থাকা তথ্য চুরি করতে নিয়মিত সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে হ্যাকাররা। তাই সাইবার হামলা থেকে ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে দুই স্তরের নিরাপত্তা–সুবিধা রয়েছে জিমেইলে। এ সুবিধা চালু থাকলে পাসওয়ার্ড লেখার পর ব্যবহারকারীর ফোনে বার্তা বা কোড পাঠানো হয়। কোডটি ব্যবহার করেই শুধু অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যায়। তবে এবার এসএমএস ভেরিফিকেশনের বদলে দুই স্তরের নিরাপত্তা–সুবিধায় কিউআর কোডভিত্তিক নতুন পদ্ধতি যুক্ত করতে যাচ্ছে গুগল।

গুগলের দাবি, দুই স্তরের নিরাপত্তা–সুবিধায় এসএমএস ভেরিফিকেশনের পরিবর্তে কিউআর কোডভিত্তিক নতুন পদ্ধতি যুক্ত হলে জিমেইলে অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আরও বাড়বে। এর ফলে ফিশিং বা সাইবার আক্রমণ থেকে বর্তমানের তুলনায় নিরাপদ থাকবেন ব্যবহারকারীরা।

আরও পড়ুনজিমেইলে ই-মেইল শিডিউল করে রাখবেন যেভাবে১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জিমেইলে এসএমএস ভেরিফিকেশনের পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়ে গুগলের মুখপাত্র রস রিচেনডরফার বলেন, ‘এসএমএস কোড এখন ব্যবহারকারীদের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করছে। আমরা এমন একটি আধুনিক ও নিরাপদ পদ্ধতি চালু করছি, যা সাইবার হামলার ঝুঁকি কমিয়ে ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখবে। নতুন এ পদ্ধতিতে এসএমএসে ছয় অঙ্কের কোডের পরিবর্তে ব্যবহারকারীদের কাছে একটি কিউআর কোড পাঠানো হবে। স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়ে কোডটি স্ক্যান করলেই পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে এ পদ্ধতি চালু করা হবে।’

আরও পড়ুনজিমেইলের এই পাঁচ সুবিধার কথা জানেন তো০২ জুলাই ২০২৪

গুগলের তথ্যমতে, বিভিন্ন দেশে মোবাইল অপারেটরদের নিরাপত্তার মানদণ্ড ভিন্ন হওয়ায় এসএমএস পদ্ধতি পুরোপুরি সুরক্ষিত নয়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ‘ট্রাফিক পাম্পিং’ বা ‘টোল ফ্রড’ নামে নতুন ধরনের প্রতারণার প্রবণতা বাড়ছে। এ ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে ফোন নম্বরে ভুয়া যাচাইকরণ কোড পাঠিয়ে অর্থ উপার্জন করে সাইবার অপরাধীরা। নতুন যাচাইকরণ পদ্ধতিতে এ ধরনের প্রতারণার সুযোগও কমবে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

আরও পড়ুনজিমেইলে কয়েক বছর আগের ই-মেইল খুঁজে পাবেন যেভাবে০২ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক উআর ক ড ব যবহ র ন র পদ ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ