আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনে নিজেদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্র শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি ও জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবীর মুরাদ। 

প্রাথমিকভাবে ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন- লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে, উপজেলা জামায়াতের আমির নাজমুল হাসান, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদর আংশিক) আসনে জেলা জামায়াতের আমির এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড.

মুহাম্মদ রেজাউল করিম, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এ আর হাফিজ উল্লাহ। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকেই নির্বাচন করার লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থীরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর- ১, ২, ৩ ও ৪ আসনে ভোট করার লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীরা কাজ করছে। আজ লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ বাড়বে। 

দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে জেলা জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবীর মুরাদ বলেন, “গোপন ব্যালটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংগঠন তৃণমূলের মতামত নিয়ে কেন্দ্রের পার্লামেন্টারিয়ান বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে প্রার্থী সিলেকশন করা হয়েছে। নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার পর কেন্দ্র চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে।”

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ