ডাক দিয়ে যায় একুশে ফেব্রুয়ারি: প্রথম আলোয় ভাষা আন্দোলন
Published: 26th, February 2025 GMT
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এর তাৎপর্য সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, গণতন্ত্র, জাতিরাষ্ট্র ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসে। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা। ২০২৪-এর জুলাই গণ-আন্দোলনের মধ্যেও সেই একই চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
প্রথম আলো তার যাত্রালগ্ন থেকে ভাষা আন্দোলনের নানা দিক নিয়ে অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ, স্মৃতিকথা, সাক্ষাৎকার, দলিল ইত্যাদি প্রকাশ করে আসছে। এসবের একটি নির্বাচিত সংকলন ‘ডাক দিয়ে যায় একুশে ফেব্রুয়ারি: প্রথম আলোয় ভাষা আন্দোলন’। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান সম্পাদিত বইটি পাঠক ও গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হবে।
বইটি প্রকাশে সহযোগিতা করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি। এ ছাড়া তাদের সহযোগিতায় প্রথমা প্রকাশন থেকে ‘অব্যাহত মুক্তিযুদ্ধ: প্রথম আলোয় একাত্তর’ নামে বইটি দুই খণ্ডে স্বাধীনতার মাস মার্চের শুরুতে প্রকাশিত হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’