রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এর তাৎপর্য সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, গণতন্ত্র, জাতিরাষ্ট্র ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসে। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা। ২০২৪-এর জুলাই গণ-আন্দোলনের মধ্যেও সেই একই চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

প্রথম আলো তার যাত্রালগ্ন থেকে ভাষা আন্দোলনের নানা দিক নিয়ে অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ, স্মৃতিকথা, সাক্ষাৎকার, দলিল ইত্যাদি প্রকাশ করে আসছে। এসবের একটি নির্বাচিত সংকলন ‘ডাক দিয়ে যায় একুশে ফেব্রুয়ারি: প্রথম আলোয় ভাষা আন্দোলন’। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান সম্পাদিত বইটি পাঠক ও গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হবে।

বইটি প্রকাশে সহযোগিতা করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি। এ ছাড়া তাদের সহযোগিতায় প্রথমা প্রকাশন থেকে ‘অব্যাহত মুক্তিযুদ্ধ: প্রথম আলোয় একাত্তর’ নামে বইটি দুই খণ্ডে স্বাধীনতার মাস মার্চের শুরুতে প্রকাশিত হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ