রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এর তাৎপর্য সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, গণতন্ত্র, জাতিরাষ্ট্র ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসে। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা। ২০২৪-এর জুলাই গণ-আন্দোলনের মধ্যেও সেই একই চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

প্রথম আলো তার যাত্রালগ্ন থেকে ভাষা আন্দোলনের নানা দিক নিয়ে অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ, স্মৃতিকথা, সাক্ষাৎকার, দলিল ইত্যাদি প্রকাশ করে আসছে। এসবের একটি নির্বাচিত সংকলন ‘ডাক দিয়ে যায় একুশে ফেব্রুয়ারি: প্রথম আলোয় ভাষা আন্দোলন’। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান সম্পাদিত বইটি পাঠক ও গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হবে।

বইটি প্রকাশে সহযোগিতা করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি। এ ছাড়া তাদের সহযোগিতায় প্রথমা প্রকাশন থেকে ‘অব্যাহত মুক্তিযুদ্ধ: প্রথম আলোয় একাত্তর’ নামে বইটি দুই খণ্ডে স্বাধীনতার মাস মার্চের শুরুতে প্রকাশিত হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল

এছাড়াও পড়ুন:

নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?

একজন পুরুষ মূত্রথলিতে অনায়াসে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারন করতে পারে। একজন নারীরও এই সক্ষমতা রয়েছে। তারপরেও নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। 

চিকিৎসকদের মতে,  ‘‘মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা এক হলে এর চারপাশে যেসব অঙ্গ থাকে, তা প্রস্রাব লাগার অনুভূতিতে পার্থক্য তৈরি করে। আর এখান থেকেই নারী ও পুরুষের মূত্রথলির পার্থক্যের শুরু।পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মূত্রথলি প্রোস্টেটের ওপরে এবং রেকটামের (মলদ্বারের) সামনে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ পেলভিক অঞ্চলে থাকে।’’

নারীরা গর্ভাবস্থায় বার বার প্রস্রাব করেন। এই সময়ে জরায়ু মূত্রথলিকে চেপে ধরে। আর সেকারণেই শেষ তিন মাসে নারীদের প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পরপর বাথরুমে যেতে হয়।

আরো পড়ুন:

প্রতিদিন এন্টাসিড খাচ্ছেন? কোন কোন রোগ হতে পারে জেনে নিন

যেসব রোগ থাকলে ডাবের পানি পান করা উচিত নয়

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম প্রস্রাব জমলেই মূত্রথলি ভর্তি হওয়ার অনুভব পেতে পারেন। এর কারণ হরমোনের প্রভাব। তাছাড়া সংবেদনশীলতার কারণেও এমন হয়। 
নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসব, হরমোন পরিবর্তন এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তখন নারীদের মূত্রথলির ‘ধরে রাখা’ ও ‘ছাড়ার’ মধ্যে নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য নষ্ট হয়।মূত্রনালীর শেষপ্রান্তে থাকা স্পিঙ্কটার নামের পেশিটি তার শক্তি হারাতে পারে বলে বার বার প্রস্রাব হতে পারে।

নারীরা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ইচছাকৃতভাবে প্রস্রাব করেন। যাতে বাইরে গেলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে না নয়। এটা এক রকম সংস্কৃতি। এমনকি ছোট শিশু মেয়েকেও এই শিক্ষাই দেওয়া হয়। যার ফলে এক ধরণের সংবেদনশীলতা তৈরি হয়ে যায়। এই সংবেদনশীলতাও বার বার প্রস্রাব হওয়ার একটি কারণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘পুরুষের চেয়ে নারীর বার বার প্রস্রাব হওয়ার পেছনে ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা বা ছোট মূত্রথলির ব্যাপার নেই। বরং এটি শরীরের গঠন, অভ্যাস আর হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে।’’

তথ্যসূত্র: বিবিসি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ