সরকার এ বছরের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে: ড. ইউনূস
Published: 26th, February 2025 GMT
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বছরের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জার্মান সরকারের কমিশনার জারাহ ব্রুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা জানান। খবর বাসসের
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বাংলাদেশ।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা জার্মানির জনগণ ও দেশটির অর্থনীতির প্রশংসা করে বলেন, জার্মানি বিশ্বব্যাপী ভারী শিল্পসহ অনেক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন ‘আমাদের সঙ্গে জার্মানির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে আমরা ভিন্ন মাত্রার একটি বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।’
জারাহ ব্রুন সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণ সম্পর্কে ধারণা নিতে বাংলাদেশ সফর করছেন। তিনি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনার কাজের বড় অনুরাগী’। তিনি জার্মানিতে সামাজিক ব্যবসা চালু করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বছরের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে জার্মানির সহযোগিতা চান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের জন্য আপনাদের সব ধরনের সহায়তা দরকার। আমরা জাতীয় নির্বাচনকে সফল করতে কঠোর পরিশ্রম করছি।’
বৈঠকে তারা উভয়ে অধ্যাপক ইউনূসের থ্রি জিরো আন্দোলন, সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং কল্যাণ রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।