প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের মেয়াদ হবে ৩ বছর
Published: 27th, February 2025 GMT
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা, ২০২৫ জারি করেছে সরকার। মোট সংখ্যার আনুপাতিক হারে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ১৫টির বেশি পাবে না কোনো প্রতিষ্ঠান। এছাড়া এ কার্ডের মেয়াদকাল হবে তিন বছর।
গতকাল বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নীতিমালায় প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্তির সংখ্যা নির্ধারণ প্রসঙ্গে বলা হয়, গণমাধ্যমে কর্মরত সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক, উপসম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক, প্রতিবেদক, আলোকচিত্রী ও ভিডিও গ্রাফারদের মোট সংখ্যার আনুপাতিক হারে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদান করা হবে। তবে কার্ড প্রদানের সংখ্যা কোনোক্রমেই মোট সংখ্যার ৩০ শতাংশের বেশি হবে না এবং একক কোনো প্রতিষ্ঠান ১৫টির বেশি কার্ড পাবে না। উল্লিখিত ব্যক্তিদের তালিকা প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্যাডে সিলসহ প্রদান করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, এই তালিকায় উল্লিখিত সাংবাদিকের বেতন ও নিয়োগ প্রাপ্তির প্রমাণাদিসহ অন্য যেকোনো তথ্য অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি প্রয়োজন মনে করলে যাচাই-বাছাই করবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের তথ্যে ভুল পাওয়া গেলে সেই প্রতিষ্ঠানের কার্ড প্রাপ্তির যোগ্যতা সর্বনিম্ন দুই বছর হতে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত স্থগিত করা যাবে।
নীতিমালায় বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের মেয়াদকাল হবে তিন বছর। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডে ইস্যুর তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড স্থগিত ও বাতিলের কারণ:
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করলে তার বর্তমান প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে এবং তিনি নতুন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য অনুচ্ছেদ ৭-এ উল্লিখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন।
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী ব্যক্তি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব করা থেকে বিরত থাকলে অথবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত না থাকলে, সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রধান তথ্য অফিসারকে লিখিতভাবে তা জানাবেন এবং ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে ইস্যুকৃত প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড তথ্য অধিদপ্তরে ফেরত পাঠাবেন। অন্যথায় ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যুর কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
কোনো গণমাধ্যমের প্রকাশনা বা সম্প্রচারের লাইসেন্স/নিবন্ধন বাতিল করা হলে কিংবা বন্ধ হলে অথবা ডিএফপি মিডিয়া তালিকা থেকে বাদ গেলে কিংবা গণমাধ্যম প্রতিনিধির মৃত্যু হলে বা তিনি মিডিয়া থেকে চাকরিচ্যুত হলে অথবা পদত্যাগ করলে উক্ত গণমাধ্যমের প্রতিনিধির অনুকূলে প্রদত্ত প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হবে।
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ব্যবহার করে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রধান তথ্য অফিসার সংশ্লিষ্ট প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সাময়িকভাবে স্থগিত করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বিষয়টি অ্যাক্রিডিটেশন কমিটিতে প্রেরণ করবেন।
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী কর্মরত সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত ‘কোড অব কনডাক্ট’ বা এই নীতিমালার কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে কমিটি তার প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করবে এবং তথ্য অধিদপ্তর তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার করবে। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে অথবা অন্য কোনো যৌক্তিক কারণে প্রধান তথ্য অফিসার কার্ড বাতিলের জন্য প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির কাছে সুপারিশ করতে পারবেন।
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখে কার্ডের কার্যকারিতা শেষ হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ (এক) মাস আগেই নবায়নের জন্য আবেদন করতে হবে।
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড:
অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ সম্পাদক, বরেণ্য সাংবাদিক/কলামিস্টগণ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্য হবেন।
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকগণ পেশাগত এবং প্রধান তথ্য অফিসার কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য তথ্যাদি প্রদান সাপেক্ষে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্য হবেন।
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মূলধারার গণমাধ্যমে কমপক্ষে ২০ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা এবং মূলধারার গণমাধ্যমে বছরে অন্তত ১০টি প্রতিবেদন প্রচার বা প্রকাশের প্রমাণক দাখিল করতে হবে। প্রতিবেদনসমূহ প্রধান তথ্য অফিসার কর্তৃক যাচাই সাপেক্ষে কমিটিতে উপস্থাপিত হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।