ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। ব্যক্তিগত জীবনে নীলাঞ্জনার সঙ্গে ঘর বাঁধেন। তবে দুজনের দুটো পথ গেছে বেঁকে। নামের পাশ থেকে মুছে ফেলেছেন ‘সেনগুপ্ত’ পদবি। বাবার পদবি ব্যবহার করছেন।

বর্তমানে দুই মেয়ে জারা ও সারাকে নিয়ে আপাতত জীবনযাপন করছেন নীলাঞ্জনা। দাম্পত্য জীবনে নানা চড়াই-উতরাই পার করলেও যীশুকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। তবে মহাশিবরাত্রিতে নিজের শরীর থেকে যীশুর শেষ চিহ্ন মুছে ফেললেন নীলাঞ্জনা শর্মা।

যীশুর ট্যাটু মুছে শিবের ছবি এঁকেছেন নীলাঞ্জনা

আরো পড়ুন:

আমার বাবা-মা কি ভিখারি, প্রশ্ন ভারতের স্ত্রী জয়শ্রীর

সাবুদিকে প্রথম দেখেই প্রেমে পড়ে যাই: পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

মূলত, নীলাঞ্জনা তার ঘাড়ে যীশুর নামে একটি ট্যাটু করেছিলেন। সেই ট্যাটু মুছে ফেলেছেন। যীশুর নাম মুছে সেখানে শিবের ছবি এঁকেছেন নীলাঞ্জনা। যে ছবির নিচে লেখা ‘ওম নম শিবায়’। ছবিটি নীলাঞ্জনা তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন।

সংসার ভাঙার বিষয়টি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি যীশু কিংবা নীলাঞ্জনা। তবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন নীলাঞ্জনা; তার প্রমাণ বহুবার মিলেছে। তবে সব সামলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প করেছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে নীলাঞ্জনা বলেন, “অতীতের ঘাত-প্রতিঘাত কাটিয়ে উঠেছি। অতীত এখন অনেকটা পেছনে। অতীতকে নিয়ে বেঁচে থাকলে কখনো এগোনো যায় না। তাই পেছনে তাকিয়েও লাভ নেই। বর্তমান সময়টা আমার কাছে উপহার। ভবিষ্যতের উপর কারোর নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই কী ঘটেছে তা নিয়ে কান্নাকাটি না করে হতাশ না হয়ে সামনে তাকাতে হবে।”

এত বছরের সংসার ভাঙার নেপথ্যের কারণ নিয়ে কয়েক মাস আগে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে। তাতে জানানো হয়, টলিউডের এ হ্যান্ডসাম নায়কের প্রেমে পড়েছেন গুজরাটের কন্যা শিনাল সুর্তি! শুধু প্রেম নয়, মুম্বাইয়ে একসঙ্গে থাকছেনও যীশু ও শিনাল! যীশু সেনগুপ্তর সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন শিনাল। প্রায় ৫ বছর ধরে যীশুর সমস্ত কাজ সামলাচ্ছেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে মুম্বাই ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন যীশু। খুব কম সময় কলকাতায় থাকছেন যীশু। এই দূরত্বই নাকি কাল হয়েছে যীশু-নীলাঞ্জনার দাম্পত্য জীবনে! সোশ্যাল মিডিয়ায় যীশুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন নীলাঞ্জনা। পাশাপাশি যীশুর সঙ্গে তোলা নিজের অধিকাংশ ছবি ডিলিট করেছেন তিনি।

২০০৪ সালে নীলাঞ্জনার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন যীশু সেনগুপ্ত। টিভি ধারাবাহিকে যীশু তখন জনপ্রিয় মুখ। অঞ্জনা ভৌমিকের বড় কন্যা নীলাঞ্জনাও তখন অভিনয়জগতে বেশ জনপ্রিয়। তারপর যীশু-নীলাঞ্জনার সংসার আলো করে আসে সারা এবং জারা নামে দুই কন্যাসন্তান। সন্তান-সংসারই নীলাঞ্জনার ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে। কিন্তু সেই সুখের সংসারে নেমে এসেছে ঘন কালো মেঘ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ছ ন ন ল ঞ জন ন ল ঞ জন র কর ছ ন করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ