গাংনীতে কবরস্থানের ফটক ভাঙা নিয়ে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় মামলা,
Published: 27th, February 2025 GMT
মেহেরপুরের গাংনীর চরগোয়ালগ্রামে কবরস্থানের প্রধান ফটক ভাঙা নিয়ে সংঘর্ষে হৃদয় হোসেন নামে একজন গ্রাম্য চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিহত হৃদয়ের বাবা শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মিলন হোসেন নামে একজন সাবেক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বানী ইসরাইল জানিয়েছেন, আর কোন ঘটনা না ঘটে এজন্য পুলিশ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া রামনগর ও চরগোয়াল গ্রামে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ইতোমধ্যে নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন (নং ২৫ তাং ২৭/০২/২৫ ইং)। মামলায় মিলন নামের একজন এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামনগর গ্রামের মিরাজুল ইসলাম ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী সামিউল্লাহ ট্রাক্টর চালিয়ে চরগোয়ালগ্রামে যায়। অদক্ষ হওয়ার কারণে ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কবরস্থানের প্রধান ফটকের আংশিক ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ রামনগর বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা/ফারুক/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কারাগারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনের (৪৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন ) দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, “কারাগারের একটি কক্ষে তিনজন বন্দি থাকতেন। তাদের মধ্যে একজন আদালতে হাজিরা দিতে যান। অন্য একজন ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সুযোগে সাইদুর রহমান সুজন নিজে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।”
আরো পড়ুন:
মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
হবিগঞ্জে বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
তিনি আরো বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
কারাগার সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় আলোচিত ছিলেন সাইদুর রহমান সুজন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন ও আইসিটিসহ অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাইদুর রহমান সুজন আত্মগোপনে ছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তরার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন।
ঢাকা/শিপন/মাসুদ