বৃষ্টি বেড়েছে রাওয়ালপিন্ডিতে, এক ঘন্টার মধ্যে ম্যাচ নিয়ে সিদ্ধান্ত
Published: 27th, February 2025 GMT
রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে। দু’দলেরই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। নিয়ম রক্ষার ম্যাচেও হানা দিয়েছে বৃষ্টি। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় ৩টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে টস সম্ভব হয়নি। ৪টায় মাঠ পরিদর্শনের সময় নির্ধারণ করা থাকলেও রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টি বেড়েছে। আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত আসতে পারে ম্যাচ নিয়ে। ঠাণ্ডা বাতাসের মধ্যে খেলা শুরুর অপেক্ষায় থাকা দর্শকরা ধীরে ধীরে মাঠ ছাড়তে শুরু করেছে। গ্যালারিতে সমাগম কমছে।
এদিকে বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করতে করতে ব্রডকাস্টার টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সহকারী কোচ আজহার মাহমুদ বলেছেন, পিন্ডির আবহাওয়া সম্পর্কে আমি কোনো অনুমান করতে পারি না। দেখে তো ভালো মনে হচ্ছে না। হয়তো খেলা শুরু হতেও পারে। কেউই জানে না আসলে।
এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ম্যাচেও দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: সৌম্য সরকার, তানজিদ তামিম, নাজমুল শান্ত, মেহেদী মিরাজ, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ: উসমান খান, কামরান ঘুলাম, সৌদ শাকিল, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আঘা, তায়িব তাহির, খুশদিল শাহ, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আবরার আহমেদ, মোহাম্মদ হাসনাইন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’