‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ সূত্র ব্যবহার করলেই মামলা: ট্রাম্প
Published: 27th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
গণমাধ্যমে ওপর কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যেসব গণমাধ্যম বা লেখক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র ব্যবহার করবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল উলফের নতুন বই ‘অল অর নাথিং: হাউ ট্রাম্প রিক্যাপটেড আমেরিকা’ প্রকাশের পর ট্রাম্প এ কথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিপাবলিকান দলের প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালের বেস্টসেলার বই ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস-এর জন্য পরিচিত এই লেখক।
সর্বশেষ বইটির প্রকাশক ক্রাউনকে উদ্ধৃত করে ইউরোনিউজ জানিয়েছে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ট্রাম্পের প্রচারের ১৮ মাসজুড়ে এই বইয়ের কাজ করা হয়েছে। ট্রাম্প কীভাবে পুনরায় আমেরিকার ক্ষমতায় এলেন সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
এ নিয়ে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, বেনামি’ বা ‘অব দ্য রেকর্ড’ উদ্ধৃতিসহ জাল বই এবং গল্পগুলো বের হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উলফের সর্বশেষ কাজকে ‘মানহানিকর কল্পকাহিনী’ আখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এই নির্লজ্জ অসততার জন্য বড় মূল্য দিতে হবে। আমি এটা আমাদের দেশের সেবা হিসেবে করব। কে জানে, হয়তো আমরা কিছু সুন্দর নতুন আইন তৈরি করব।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের খবর সংগ্রহে এপি, রয়টার্স ও ব্লুমবার্গসহ কয়েকটি সংবাদ সংস্থার সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়নি হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প প্রশাসনের মিডিয়া কভারেজ সম্পর্কিত নতুন নীতি অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’