নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আপনারা ইতিমধ্যে বারবার জেনেছেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ দায়িত্বশীল সবাই বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন হবে। কাজেই আমাদের প্রধান লক্ষ্য এখন সংসদ নির্বাচন। স্থানীয় নির্বাচনের কথা আমরা এই মুহূর্তে চিন্তাভাবনা করছি না।’ আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে ঢাকার ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনের যে সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে, তাতেও কিন্তু স্থানীয় নির্বাচনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনুরোধ আমাদের কাছে আসেনি। স্থানীয় নির্বাচন বিভিন্ন ধাপে ধাপে করতে হয়, এতে প্রায় এক বছর সময় লেগে যায়। কাজেই এই মুহূর্তে যদি আমরা স্থানীয় নির্বাচন করি, তাহলে আমাদের সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে করা খুবই অসম্ভব এবং কঠিন।’

সংসদ নির্বাচনই এখন মূল লক্ষ্য এবং সেটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য সংসদ নির্বাচন করা। আমরা এটা নিয়েই কাজ করছি। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। ভোটার লিস্ট জুনের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কাজেই জুনের পর যদি ডিসেম্বরে করতে হয়, তাহলে আমাদের অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। তার আগে স্থানীয় নির্বাচন করাটা এই মুহূর্তে আমাদের জন্য সম্ভব মনে করছি না।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আমরা আশা করি, আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ দিনকে দিন উন্নত হচ্ছে। এখানেও কথা বললাম, তাঁরা বললেন, পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আমরা আশা করি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ শেষে আবদুর রহমানেল মাছউদ ধামরাই পৌরসভার ঢুলিভিটা মুন্নু কমিউনিটি সেন্টারে ধামরাই উপজেলা আন্তস্কুল ও মাদ্রাসার বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ধামরাই সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.

সেলিম মিয়া, ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনী, ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ

ইরানের রাজধানী তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের সংবাদ সংস্থা ফার্সের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া তেহরানের পূর্বাঞ্চলেও বিস্ফোরণের খবর প্রকাশ করেছে ইরানি গণমাধ্যম।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তেহরানের কিছু অংশে হামলার হুমকি দিয়েছিল। এরপরই এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তেহরানের একটি বিস্তৃত এলাকার মানুষকে ‘অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে যেতে’ সতর্ক করে।

বিবিসি জানায়, আইডিএফের মুখপাত্র আভিচাই আদরায়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আগামী ঘণ্টাগুলোতে আমরা তেহরানের এই এলাকায় অভিযান চালাব—যেমন আগের দিনগুলোতেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি জানান, ইরানের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হবে।

পোস্টের সঙ্গে একটি মানচিত্র যুক্ত করে ইসরায়েল জানায়, তেহরানের তৃতীয় জেলায় বসবাসকারীদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ‘আপনার এই এলাকায় অবস্থান আপনার জীবনের জন্য হুমকি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ