জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার এসব মামলা করা হয়।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁর এবং তাঁর স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে মোট ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ৮৯১ কোটি ৩২ লাখ ৯৪ হাজার ৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।

পাশাপাশি ৬ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবদুর রহমানের স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেনের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।

সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা

দুদক সূত্র জানায়, ২ কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৮২৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁর নামে থাকা ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৫৯০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। একই অভিযোগে মামলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.

শরিফ মাহমুদের বিরুদ্ধেও।

দুদক সূত্র বলছে, সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের নিয়োগ ও বদলি–বাণিজ্যের জন্য আলোচিত ছিলেন। নিয়োগ ও বদলি–বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে শরিফ মাহমুদের বিরুদ্ধেও।

এ দিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল্যা নজরুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান ফিরোজ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করা হয়। আজ বুধবার এ তথ্য জানায় দুদক।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে বলা হয়, আসামি নাজমুল হাসান ফিরোজ ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার ৯২০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি নিজ নামে এসব সম্পদ ভোগ ও দখলে রেখেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, নাজমুল হাসান ফিরোজ সর্বশেষ মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক।

পুলিশের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের এজাহারে আরও বলা হয়, নাজমুল হাসান ও তাঁর স্ত্রী সাদিয়া আইনুন নিশাতের নামে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯০ হাজার ১১৬ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নাজমুলের নামে দায় রয়েছে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৩৮৫ টাকার। ফলে নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৭৩১ টাকা। অথচ আয়কর নথি অনুযায়ী নাজমুলের বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় মাত্র ৫৭ লাখ ৯ হাজার ৮১১ টাকা। এতে দেখা যাচ্ছে, দুজনের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার ৯২০ টাকা।

দুদক বলছে, আসামি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব সম্পদ অর্জন করলেও তাঁর কাছ থেকে এসব আয়ের গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

দুদক আরও জানিয়েছে, তদন্ত চলাকালে আসামি বা তাঁর নির্ভরশীলদের নামে–বেনামে অন্য কোনো সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেলে, সেটিও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা