গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় লুডু খেলার কথা বলে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর-মানিকদা এলাকা থেকে অভিযুক্ত কামরুল হাওলাদারকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমরিয়া ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি শিশুটির মা বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, কামরুল হাওলাদার পূর্ব পরিচিত। তাই তিনি ওই শিশুদের বাড়িতে মাঝে মাঝে যাওয়া-আসা করতেন। আর ওই শিশুকে নাতি বলে ডাকতেন। বিভিন্ন সময় দোকান থেকে খাবার কিনে দিত। সেই সুবাদে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় লুডু খেলার কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে কামরুল তার বাড়িতে যায়। সেখানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুর চিৎকারে আশেপাশের মহিলারা দৌড়ে আসেন। এ সময় কামরুল শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা শিশুটির মাকে বিষয়টি জানায়। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা করেন তিনি।

শিশুর মা জানান, তার মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা কামরুলের বাড়িতে গিয়ে তাদের নগ্ন অবস্থায় দেখতে পায়। অবস্থা বেগতিক দেখে কামরুল পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা আমাকে সব কিছু জানায়। পরে মামলা করলে বুধবার রাতে পুলিশ কামরুলকে গ্রেপ্তার করে। তিনি কামরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, শিশুটির মা থানায় মামলা করার পর থেকে অভিযুক্ত কামরুল গা ঢাকা দিয়ে অন্য এলাকায় চলে যায়। পরে বুধবার গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর-মানিকদা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ