ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আলোচনায় সুর নরম করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকে তাঁকে এমন অবস্থান নিতে দেখা যায়।

তবে ইউরোপ মরিয়াভাবে যা চাইছে, যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ইউক্রেনের সেই নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে কোনো দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকার করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে দুই নেতার মধ্যে বহুল আশাবাদী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা।  

বৈঠকে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যুক্তরাজ্য সফর করতে ট্রাম্পের হাতে একটি রাজকীয় আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন স্টারমার। ট্রাম্প সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।

আমি আশা করি, তিনি (পুতিন) প্রতিশ্রুতি রাখবেন। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। দীর্ঘদিন ধরেই আমি তাঁকে চিনি। আমি বিশ্বাস করি না যে তিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্ট

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি রাশিয়ার অবস্থানের দিকে ঝুঁকেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রত্যাশা ব্যক্ত করার পাশাপাশি সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। সর্বশেষ জাতিসংঘে ইউক্রেন যুদ্ধের ওপর এক প্রস্তাবে রাশিয়ার নিন্দা জানাতেও অস্বীকৃতি জানায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থানে উদ্বিগ্ন যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলো।  

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি রাশিয়ার অবস্থানের দিকে ঝুঁকেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রত্যাশা ব্যক্ত করার পাশাপাশি সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। সর্বশেষ জাতিসংঘে ইউক্রেন যুদ্ধের ওপর এক প্রস্তাবে রাশিয়ার নিন্দা জানাতেও অস্বীকৃতি জানায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থানে উদ্বিগ্ন যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলো।

বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ‘বড় অগ্রগতি’ হয়েছে। এ নিয়ে সমঝোতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি (শান্তিচুক্তি) শিগগিরই হতে পারে বা আদৌ না হতে পারে।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ইতিপূর্বে চিড় ধরার বিষয়টিকে সংবাদ সম্মেলনে খাটো করে দেখান ট্রাম্প। সম্প্রতি জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের এমন সম্পর্কে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে এমন আশঙ্কা দেখা দেয় যে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সমঝোতায় ইউক্রেনকে বাদ দিতে পারেন ট্রাম্প।

তবে জেলেনস্কির ব্যাপারে সুর নরম করে গতকাল ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁর প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে।’ জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরাচার’ বলে করা মন্তব্যের বিষয়ে এর আগে ওভাল অফিসেও নমনীয়তা দেখান ট্রাম্প। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে জানতে চাইলে পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলেছিলাম? আমার মনে হয় না, আমি এটা বলেছি।’

কিয়ার স্টারমার হলেন দ্বিতীয় নেতা, যিনি ইউক্রেন ইস্যুতে অনেকটাই শূন্য হাতে ওয়াশিংটন থেকে ফিরছেন। এ সপ্তাহেই আরও আগের দিকে (গত সোমবার) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ইউক্রেনের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি আদায়ে ট্রাম্পকে বশে আনার চেষ্টা করেন। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস পাননি তিনি।নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে সম্মতি নেই ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন র অবস থ ন কর ছ ন ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

শিগগিরই একীভূত হবে ৫ ইসলামী ব্যাংক, কর্মকর্তারা চাকরি হারাবেন না: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “বেসরকারি খাতের ৫টি ইসলামী ব্যাংককে শিগগিরই একীভূত করা হবে। একত্রিত হলেও এসব ব্যাংকের কর্মীরা চাকরি হারাবেন না।”

রবিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে ব্যাংক মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করব পরবর্তী সরকার এসে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ৫টি ইসলামী ব্যাংক মার্জার করা হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।তবে প্রয়োজনে শাখাগুলো স্থানান্তর করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহরে বেশি সেসব ব্যাংককে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র তৈরি করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এই পদ্ধতিতেও একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যেখানে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনা করে সমাধান খুঁজবেন। কোন পথে এগোনো হবে, আদালত নাকি এডিআর, সেটি নির্ধারণ করবে সরকার।” 

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ