শকিবের বরবাদের টিজার নিয়ে যা বললেন বুবলী
Published: 28th, February 2025 GMT
গতকাল সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয় ঈদুর ফিতরে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বরবাদ সিনেমার ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের টিজার। এতে শাকিবসহ যারা অভিনয় করেছেন তাদের চরিত্রের একটা ধারণা দিয়েছেন তরুণ পরিচালক মেহেদি হাসান।
টিজারে শাকিব খানকে দেখা গেছে ভয়ংকররুপে। যে শাকিব ইধিকার সব কিছু বরবাদ করতে পারেন। টিজারে নজর কেড়েছেন মিশা সওদাগর। চিন্তিত অবস্থায় দেখা গেছে তাকে। অ্যাডভোকেট চরিত্রে দেখা যাবে শহীদুজ্জামান সেলিমকে। টিজারে কলকাতার অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তকেও দেখা গেছে।
শাকিব খানের এই সিনেমার নিয়ে কথা বলছেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যমে টিজারটি শেয়ার করে অনেকেই শাকিব খানের প্রশংসা করছেন। ‘বরবাদ’ ছবির টিজার নিয়ে কথা বলেছেন বুবলীও। তিনি বলেন, ‘শাকিব খান আমাদের বাংলাদেশ না, বাংলা ভাষাভাষী, আমাদের বাংলা ইন্ডাষ্ট্রির সবচেয়ে বড় মেগাস্টার। তিনি অনেক বছর ধরে কাজ করছেন। তাঁর “বরবাদ” ছবির টিজার বের হয়েছে। দেখলাম, সবকিছু তো বরবাদ হয়ে যাচ্ছে একদম, ভেঙেচুরে। অসাধারণ নির্মাণ, শাকিব খানের উপস্থাপন দুর্দান্ত। বরবাদ টিমের জন্য আমার মন থেকে শুভকামনা। আমার পক্ষ থেকে শাকিব খানের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।’
‘বরবাদ’ ছবির টিজারে শাকিব খানের মুখে একটি সংলাপ ছিল, ‘আমি শুধু একটা জিনিসই ভাবি, নীতু শুধু আমার।’ ছবিতে নীতু চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল। ‘বরবাদ’-এর টিজারে শাকিবকে পাওয়া গেছে বেশ কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন লুকে। টিজার দেখে মনে করা হচ্ছে, প্রেম আর প্রতিশোধের গল্প হতে যাচ্ছে এটি। ‘বরবাদ’ প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেছিলেন, ‘সিনেমাটি আমার সব সিনেমাকে ছাপিয়ে যাবে।’
‘বরবাদ’ টিজার শাকিব খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশের পর ১৮ ঘণ্টায় ১৯ লাখের বেশি ভিউ হয়েছে। মন্তব্য এসেছে ২৭ হাজারের বেশি, রিঅ্যাকশন পড়েছে দেড় লাখের বেশি আর শেয়ার হয়েছে ১২ হাজারের বেশি। এর বাইরে পরিচালক এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক আইডি ও পেজ থেকে টিজার আপলোড করা হয়েছে। এসকে ফিল্মসের ইউটিউব থেকে টিজারের ভিউ আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে দেড়টা পর্যন্ত ১০ লাখ পার করেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা কমিয়েছে ভারতের পরিশোধনাগারগুলো, ছাড় কমে যাওয়ার প্রভাব
ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল শোধনাগারগুলো গত সপ্তাহে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করেছে বলে রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে। গত মাসে ছাড়ের পরিমাণ কমে আসার কারণে মূলত তাদের তেল কেনা কমেছে। এ খবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
সেই সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করার সময় বলেছেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কিনে ভারত রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ব্যয় মেটাতে সহযোগিতা করছে। ফলে তাদের এ ২৫ শতাংশ শুল্ক দেওয়ার পাশাপাশি অনির্দিষ্ট হারে দণ্ড দিতে হবে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক ভারত সমুদ্রপথে রপ্তানি হওয়া রুশ অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত শোধনাগারগুলো, যেমন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও মাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস লিমিটেড এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রুশ অপরিশোধিত তেলের কোনো দরপত্র দেয়নি বলে সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। এ বিষয়ে ফেডারেল তেল মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করেনি।
সূত্রগুলো জানায়, এই চার শোধনাগার নিয়মিতভাবে সরবরাহ চুক্তির ভিত্তিতে রুশ তেল কিনত; কিন্তু এখন তারা বিকল্প জোগানের জন্য স্পট মার্কেটে ঝুঁকেছে—প্রধানত মধ্যপ্রাচ্যের আবুধাবির মুরবান ক্রুড ও পশ্চিম আফ্রিকার তেল। বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নায়ারা এনার্জি ভারতে রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত শোধনাগারগুলো দেশটির মোট দৈনিক ৫ দশমিক ২ মিলিয়ন বা ৫২ লাখ ব্যারেল শোধনক্ষমতার ৬০ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে।
গত ১৪ জুলাই ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে বড় ধরনের শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো না গেলে যেসব দেশ রুশ তেল কিনছে, সেই দেশগুলোর ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড দাবি করেছেন, তিনি ‘শুনেছেন’ ভারত রুশ তেল আমদানি বন্ধ করেছে। শুধু তা–ই নয়, এটিকে তিনি ভালো পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা করেছেন। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে জানিয়েছে, দেশের জ্বালানি কেনাবেচা বাজারের গতি–প্রকৃতি ও জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। ভারতীয় তেল কোম্পানিগুলো রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধ করেছে—এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমার জানা মতে, ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না, এটা ভালো পদক্ষেপ। দেখা যাক, কী হয়।’
রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের আক্রমণের জবাবে গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পাররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘জ্বালানির কেনার উৎস নির্ধারণের বিষয়ে আমাদের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে সবাই সচেতন। বাজারের সহজলভ্যতা অনুযায়ী আমরা তেল কেনার চেষ্টা করি। এ বিষয়ে আমাদের ধারাবাধা উৎস নেই।’
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিও ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়। পরিষ্কার জানানো হয়, রাশিয়া ভারতের অংশীদার ‘পরীক্ষিত’। এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির নিজস্ব ভিত্তি আছে। তৃতীয় দেশের লেন্স দিয়ে তা দেখা উচিত নয়।