ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা৷

এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা ও ঢাকার বিভিন্ন থানা থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দলে দলে জমায়েত হচ্ছেন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে৷

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সড়কে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে৷ মঞ্চের সামনের সারিতে এক পাশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বসার আসন রাখা হয়েছে৷ আরেক পাশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যদের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷

অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চ থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষের মিছিলগুলোকে স্বাগত জানানো হচ্ছে৷ মঞ্চের সামনে রাজনৈতিক নেতাদের সারিতে আসন গ্রহণ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আকবর খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী৷

এই প্রতিবেদন লেখার সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত হয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মেজর (অব.

) আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, খেলাফত মজলিসের নেতা আহমেদ আবদুল কাদের, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজী, ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আজহারুল ইসলাম, এবি পার্টির নেতা দিদারুল আলম এবং জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল৷

অনুষ্ঠানের সামনের সারিতে কূটনীতিকদের জন্যও আসন রাখা হয়েছে৷ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর কামরান দাঙ্গাল ও ঢাকায় ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত৷

নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান বেলা তিনটায় শুরু হওয়ার কথা। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখার সময় অনুষ্ঠান শুরু হয়নি৷ বিভিন্ন জেলা, ঢাকার বিভিন্ন থানার মানুষ ও দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন৷ ঢাকার আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঢাকার বাইরে থেকে আসা গাড়িগুলোর পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে৷

জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ: স্লোগানে আর মিছিলে ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাসজাতীয় নাগরিক পার্টির ‘সুপার টেন’: জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব থাকছেন দুজন করে‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’: আত্মপ্রকাশ বিকেলে, কে কোন পদে আসছেন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন র স মন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ