ফুটবলাররা এখন শুধুই আর খেলোয়াড় নন। ফ্যাশন, বিনোদন কিংবা পণ্যদূত হিসেবেও তাঁরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি গ্ল্যামারের দিক থেকেও ফুটবলাররা পাল্লা দেন বিনোদনজগতের তারকাদের সঙ্গে। আবেদনময়ী তারকা হিসেবেও নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে হয় তাঁদের।

সম্প্রতি তেমনই এক জরিপ হয়েছে ফুটবলারদের নিয়ে। যুক্তরাজ্যে হওয়া এই জরিপটি পরিচালনা করেছে স্লটজিলা নামের একটি ওয়েবসাইট। যেখানে অংশ নিয়েছেন ২ হাজার ৫০০ প্রাপ্তবয়স্ক ব্রিটিশ নাগরিক। শরীরী অবয়ব, স্টাইল ও ব্যক্তিত্বের নিরিখে ভোট দিয়েছেন তাঁরা।

এই ভোটাভুটিতে সবাইকে পেছনে ফেলেছেন চেলসির ইংলিশ মিডফিল্ডার কোল পালমার। সব মিলিয়ে ১৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ৬ ফুট ২ ইঞ্চির এ ফুটবলার। শীর্ষ স্থান দখলের পথে জুড বেলিংহাম, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও জ্যাক গ্রিলিশের মতো তারকাদের পেছনে ফেলেছেন পালমার।

আরও পড়ুনমেসিকে পেনাল্টি নেওয়া শিখিয়েছিলেন নেইমার২ ঘণ্টা আগে

পালমারের পর দুই নম্বরে আছেন জুড বেলিংহাম। তাঁর চেয়ে ২ শতাংশ ভোট কম পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। অনেকের কাছে আবেদনময় হিসেবে পরিচিত জ্যাক গ্রিলিশ আছেন তিনে। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৫ শতাংশ।

শুধু ব্রিটিশরা ভোট দেওয়ার কারণে এই তালিকায় ইংলিশ ফুটবলারদের আধিক্য বেশি। তবে এর মাঝেও শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছেন তিন নন–ব্রিটিশ খেলোয়াড়। ৮, ৯ ও ১০ নম্বরে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (৬ শতাংশ), আর্লিং হলান্ড (৪ শতাংশ), কিলিয়ান এমবাপ্পে (২ শতাংশ)। এই তিনজন ছাড়া বাকি সাতজনই ইংল্যান্ড দলে খেলা ফুটবলার।  

সবচেয়ে আবেদনময় ফুটবলার কোল পালমার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।

এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।

শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।

এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ