আবেদনময় ফুটবলারদের তালিকায় রোনালদো–এমবাপ্পে–বেলিংহাম তাঁর পেছনে
Published: 28th, February 2025 GMT
ফুটবলাররা এখন শুধুই আর খেলোয়াড় নন। ফ্যাশন, বিনোদন কিংবা পণ্যদূত হিসেবেও তাঁরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি গ্ল্যামারের দিক থেকেও ফুটবলাররা পাল্লা দেন বিনোদনজগতের তারকাদের সঙ্গে। আবেদনময়ী তারকা হিসেবেও নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে হয় তাঁদের।
সম্প্রতি তেমনই এক জরিপ হয়েছে ফুটবলারদের নিয়ে। যুক্তরাজ্যে হওয়া এই জরিপটি পরিচালনা করেছে স্লটজিলা নামের একটি ওয়েবসাইট। যেখানে অংশ নিয়েছেন ২ হাজার ৫০০ প্রাপ্তবয়স্ক ব্রিটিশ নাগরিক। শরীরী অবয়ব, স্টাইল ও ব্যক্তিত্বের নিরিখে ভোট দিয়েছেন তাঁরা।
এই ভোটাভুটিতে সবাইকে পেছনে ফেলেছেন চেলসির ইংলিশ মিডফিল্ডার কোল পালমার। সব মিলিয়ে ১৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ৬ ফুট ২ ইঞ্চির এ ফুটবলার। শীর্ষ স্থান দখলের পথে জুড বেলিংহাম, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও জ্যাক গ্রিলিশের মতো তারকাদের পেছনে ফেলেছেন পালমার।
আরও পড়ুনমেসিকে পেনাল্টি নেওয়া শিখিয়েছিলেন নেইমার২ ঘণ্টা আগেপালমারের পর দুই নম্বরে আছেন জুড বেলিংহাম। তাঁর চেয়ে ২ শতাংশ ভোট কম পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। অনেকের কাছে আবেদনময় হিসেবে পরিচিত জ্যাক গ্রিলিশ আছেন তিনে। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৫ শতাংশ।
শুধু ব্রিটিশরা ভোট দেওয়ার কারণে এই তালিকায় ইংলিশ ফুটবলারদের আধিক্য বেশি। তবে এর মাঝেও শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছেন তিন নন–ব্রিটিশ খেলোয়াড়। ৮, ৯ ও ১০ নম্বরে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (৬ শতাংশ), আর্লিং হলান্ড (৪ শতাংশ), কিলিয়ান এমবাপ্পে (২ শতাংশ)। এই তিনজন ছাড়া বাকি সাতজনই ইংল্যান্ড দলে খেলা ফুটবলার।  
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’