নতুন দলের আত্মপ্রকাশ: মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জড়ো হচ্ছেন ছাত্র-জনতা
Published: 28th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বৈষম্যহীন শোষণমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে রাজনীতির ময়দানে আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি-এনসিপি)। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ঘিরে জড়ো হচ্ছেন ছাত্র-জনতা। এরই মধ্যে নেতাকর্মীদের আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি-এনসিপি)। তারাই ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
দলটির আহ্বায়ক হচ্ছেন নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এছাড়া নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান সমন্বয়কারী, সামান্তা শারমিনকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক, হাসনাত আবদুল্লাহকে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, সারজিস আলমকে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, আবদুল হান্নান মাসউদকে যুগ্ম সমন্বয়ক ও সালেহ উদ্দিন সিফাতকে দপ্তর সম্পাদক হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষ পদে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মিরপুর, শাহবাগ, উত্তরা, রমনাসহ বিভিন্ন এলাকা ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।
জানা গেছে, নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করবে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার। তবে ঠিক কোন শহীদের পারিবার এই রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারুণ্য নির্ভর নতুন এই রাজনৈতিক দলের নাম হবে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)।
নতুন দলের নাম এবং এর শীর্ষ দুই পদ আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নাম ঘোষণার পর নতুন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম একে একে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৪৯ জন সদস্যকে মঞ্চে ডেকে নেবেন।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ছ ত র জনত দল র ন ম র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।