দ্রুত নতুন কমিটি চান ক্রিকেটাররা, টাকা কমে যাওয়ায় ক্ষোভ
Published: 28th, February 2025 GMT
ক্রিকেটারদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় দেখভাল করে থাকে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কোয়াবের সভাপতি নাঈমুর রহমান রয়েছেন আত্মগোপনে। এ অবস্থায় সংগঠনটিকে নতুন করে গঠনের চেষ্টা শুরু হয়েছে।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এ নিয়ে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালের উপস্থিতিতে বৈঠকও করেছেন ক্রিকেটাররা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে রাজধানীতে আছেন—এমন ৩৫–৪০ জন ক্রিকেটার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন তামিম ইকবাল, নুরুল হাসান, তাইজুল ইসলাম ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারও।
বৈঠকে কী নিয়ে আলাপ হয়েছে, জানতে চাইলে উপস্থিত এক ক্রিকেটার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, পুরো কোয়াবের কার্যক্রম নতুন করে শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। যত দ্রুত সম্ভব বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে প্রতিটি বিভাগ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি ও তাঁদের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করতে চান ক্রিকেটাররা। কোয়াবের গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য একজন আইনি পরামর্শকও নিয়োগ দেওয়া হবে।
এসবের বাইরে ক্রিকেটাররা তাঁদের পারিশ্রমিক ইস্যু নিয়ে কোয়াবের বৈঠকে কথা বলেছেন। বিপিএলে পারিশ্রমিকের বকেয়া এখনো বুঝে পাননি অনেক ক্রিকেটার। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও গত আসরের তুলনায় অর্ধেক পারিশ্রমিকে খেলতে হচ্ছে তাঁদের। এ নিয়ে বৈঠকে ক্ষোভ জানিয়েছেন কেউ কেউ।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের মে মাসে কোয়াবের কমিটি গঠন হয়। তখন ‘উপায় না পেয়ে’ নতুন করে দায়িত্ব নেন ২০১৪ সাল থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা নাঈমুর রহমান ও দেবব্রত পাল।
এখন যেহেতু ক্রিকেটাররা নতুন করে নির্বাচন চাচ্ছেন, তাহলে তাঁদের ভাষ্য কী? জানতে চাইলে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গঠনতন্ত্র সমুন্নত রেখে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা আবারও বসব। পরবর্তী করণীয় দ্রুতই ঠিক হবে।’
আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব না ছাড়লেও নতুন করে নির্বাচন হলে বর্তমান সভাপতি নাঈমুরেরও কোনো আপত্তি থাকবে না বলে মনে করেন দেবব্রত পাল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’