অ্যাপল, গুগল ও মেটার কাছে থাকা ব্যবহারকারীদের তথ্য কি নিরাপদ
Published: 1st, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে আগের তুলনায় বেশি ব্যবহারকারীদের তথ্য সরবরাহ করছে অ্যাপল, গুগল ও মেটা। গোপনীয়তা সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রোটনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গত এক দশকে এই তিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে পাঠানো ব্যবহারকারীদের তথ্যের পরিমাণ ৫৩০ থেকে ৬৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যান্য দেশ থেকে তথ্য চাওয়ার পরিমাণ বাড়লেও তা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম।
প্রোটনের গবেষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে গুগল, অ্যাপল ও মেটার তথ্য দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। ২০১৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট-সম্পর্কিত তথ্য শেয়ারের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১০ বছরে শুধু গুগলের কাছেই তথ্য জানানোর অনুরোধের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২ হাজার ১৭১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, ব্যবহারকারীদের তথ্য চাওয়ার প্রবণতায় তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোয় তথ্য চাওয়ার পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও তা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় বেশ কম।
প্রোটনের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুধু নিজ দেশের নাগরিকদেরই নয়, অন্যান্য দেশের নাগরিকদের তথ্যেও অবাধ প্রবেশাধিকার পাচ্ছে। বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সব প্ল্যাটফর্মে পূর্ণাঙ্গ ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও তা ব্যবহারকারীদের তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।
প্রোটনের তথ্য মতে, বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত প্রকাশ্যে জানাতে চায় না যে তারা স্বেচ্ছায় বা অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশের সরকারি সংস্থার কাছে ব্যবহারকারীদের তথ্য পাঠিয়ে থাকে। বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে নৈতিকতার চেয়ে অর্থ আয়ই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পর ম ণ প র টন র ব যবহ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কারা বেশি কাঁদেন?
কান্না একটি এমন একটি স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর মানসিক প্রক্রিয়া যা শরীরকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘‘যারা বেশি কাঁদেন তাদের মধ্যে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এর কারণ কখনও মানসিক কখনও শারীরিক আবার কখনও পারিপার্শ্বিক বিষয়।’’ বেশি কান্না করা মানুষের আচরণে বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
উচ্চ মানসিক সংবেদনশীলতা
এই ব্যক্তিরা সাধারণত অন্যের আবেগ ও অনুভূতি খুব সহজেই বুঝতে পারেন এবং গভীরভাবে অনুভব করেন। সামান্য ঘটনায় তারা বেশি প্রভাবিত হন।
আরো পড়ুন:
যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়
বিশ্বে কারা বেশি পড়েন, কোন বই বেশি পড়েন?
সহানুভূতির প্রবণতা
যাদের মধ্যে সহানুভূতির মাত্রা বেশি, তারা প্রায়শই বেশি কাঁদেন। তারা নিজেদের পাশাপাশি অন্যের কষ্টেও সহজে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
মানসিক চাপ বা বিষণ্নতা
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্নতার কারণে মানুষ বেশি কাঁদতে পারে। কান্না এক্ষেত্রে জমে থাকা মানসিক চাপ কমানোর একটি উপায় হিসেবে কাজ করে।
হরমোনের প্রভাব
হরমোনের তারতম্য, বিশেষ করে নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে, কান্নার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মতো হরমোনের মাত্রা কান্নার সাথে সম্পর্কিত।
অতীত অভিজ্ঞতা
অতীতের কোনো দুঃখজনক বা আঘাতমূলক ঘটনা মানুষের মধ্যে সহজে কেঁদে ফেলার প্রবণতা তৈরি করতে পারে।
যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কান্না
কিছু মানুষের জন্য কান্না হল নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করার একটি উপায়, কারণ তারা হয়তো কথা বলে তা প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।
উল্লেখ্য, যদি অতিরিক্ত কান্না দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে বা বিষণ্নতার লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়, তাহলে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ঢাকা/লিপি