গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশের খবর ফলাও করে প্রচার করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। আল জাজিরা, ব্লুমবার্গ, এপি, ও রয়টার্সের মতো মিডিয়া এনসিপির আত্মপ্রকাশের খবর প্রচার করেছে।

রয়টার্স শিরোনাম করেছে, প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর রাজনৈতিক দল করল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

ব্লুমবার্গ নিউজের শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা, যারা হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল তারা নতুন রাজনৈতিক দল করেছে। নিউজের ইন্ট্রোতে বলা হয়েছে, গত বছর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের প্রধান সংগঠকরা বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে আসন্ন নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। দেশটিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

‘ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি’র নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম। তিনিই আন্দোলনকারীদের সংগঠিত করতে এবং বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে গত আগস্টে দেশত্যাগে বাধ্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

এপি নিউজ শিরোনাম করেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে।

আল জাজিরা প্রতিবেদনে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে লড়তে নতুন দল গঠন করেছে।

গত বছরের গণবিক্ষোভের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা আগামী এক বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে একটি রাজনৈতিক দল করেছে।

শুক্রবার রাজধানীর সংসদ ভবনের পাশের মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এক সমাবেশে নতুন দল ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টির (এনসিপি) নেতারা জানান, তারা বিভেদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের রাজনীতি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বচ্ছতা ও সুশাসন এবং একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে দেশ গড়তে চান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আলজ জ র এনস প এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।

আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র‌্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।

আরো পড়ুন:

মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি

তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন

সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।

দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।

৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।

কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”

তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাঁধন-সাবার ভার্চুয়াল দ্বন্দ্বে যোগ দিলেন অরুণা বিশ্বাস
  • ‘বিচার প্রক্রিয়া ও সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে’
  • তিতুমীর কলেজে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী
  • হাসিনাকে ১০ বার ফাঁসিতে ঝোলালেও তার অপরাধ কমবে না: নাহিদ 
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
  • নরসিংদীতে আজ এনসিপির পদযাত্রা 
  • এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করল ছাত্রদল