প্রয়াত চিত্রনায়িকা দিতি কন্যা লামিয়ার ওপর হামলার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা বিএনপি। নোটিশের জবাবও দিয়েছেন এই বিএনপি নেতা।

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের কারণে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার ইস্যুকৃত কারণ দর্শানোর নোটিশটি তাকে দেওয়া হয়। এরমধ্যে সে নোটিশের জবাব দিয়েছেন মো.

মোশারফ হোসেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বলেছেন, এ ব্যাপারে সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদনের কপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হবে।

জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, ১ম যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দীপু ও যুগ্ম-আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিত্রনায়িকা দিতি কন্যা লামিয়ার বিভিন্ন বর্ণনা ও সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আপনার সংশ্লিষ্টতায় যে অভিযোগ হয়েছে, সে বিষয়ে আপনাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হচ্ছে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে সোনারগাঁ পৌরসভার দিয়াপাড়া এলাকায় চিত্রনায়িকা দিতির বাড়িতে প্রায় শতাধিক লোকবল দিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বিচার শালিসের নাম করে লামিয়ার উপর হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে শারীরিকভাবে আহত করে বলে অভিযোগ উঠে। ইতোমধ্যে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

কারণ দর্শানো নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে মোশারফ হোসেন বলেন, “জেলা কমিটি আমার থেকে জানতে চেয়েছে কি হয়েছিল, আমি সংবাদ সম্মেলন করে যা বলেছি তা-ই উনাদের অবগত করেছি।” 

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, “কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব পেয়েছি, আমরা সাক্ষাৎকার নিচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদনের কপি দু’একদিনের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হবে।”

ঢাকা/অনিক/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ