ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমি নিশ্চিত করতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা
Published: 1st, March 2025 GMT
‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ করাচিতে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে ‘বি’ গ্রুপে টেবিলের শীর্ষে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জিতলে বা ১ পয়েন্ট পেলেই সেমিফাইনালের টিকিট পাবে প্রোটিয়ারা।
দলের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বলেন, ‘আমাদের সামনে সহজ সমীকরণ জিতলেই সেমিফাইনাল। আমরা এই সমীকরণকে সামনে রেখেই মাঠে নামবো। এছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না।’
গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় ইতোমধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিয়েছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫ উইকেটে এবং আফগানিস্তানের কাছে ৮ রানে হারে ইংলিশরা। শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে এবারের হতাশার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শেষ করতে চায় ইংল্যান্ড। দলের অধিনায়ক জশ বাটলার বলেন, ‘এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা ভাল করতে পারিনি। তবে শেষ ম্যাচ জিততে চাই। যাতে জয় দিয়ে আসর শেষ করতে পারি।’
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৭০ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড। এরমধ্যে ৩৪ ম্যাচে প্রোটিয়ারা এবং ৩০ ম্যাচ জিতেছে ইংলিশরা। ১টি ম্যাচ টাই ও ৫টি পরিত্যক্ত হয়েছে।
ইংল্যান্ড দল : জশ বাটলার (অধিনায়ক), জোফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, টম ব্যান্টন, হ্যারি ব্রুক, ব্রাইডন কার্স, বেন ডাকেট, জেমি ওভারটন, জেমি স্মিথ, লিয়াম লিভিংস্টোন, আদিল রশিদ, জো রুট, সাকিব মাহমুদ, ফিল সল্ট, মার্ক উড।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল : তেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), টনি ডি জর্জি, মার্কো জানসেন, হেনরিচ ক্লাসেন, কেশব মহারাজ, আইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, উইয়ান মুল্ডার, লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেল্টন, তাবরাইজ শামসি, ট্রিস্টান স্টাবস, রাসি ফন ডার ডুসেন ও কর্বিন বশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’