কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়াকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম। 

সম্প্রতি কক্সবাজারের এক স্থানীয় সাংবাদিককে চকরিয়া থানার ওসি তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক মনসুর আলম। এরপর উপদেষ্টা চট্টগ্রামের ডিআইজিকে ফোন করেন এবং ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

শনিবার (১ মার্চ) সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আদেশ দেন।

আরো পড়ুন:

আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই: আসিফ মাহমুদ

বাহিনীর কারো গাফিলতি পেলে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‍“মিয়ানমার থেকে পণ্য আনার সময় সিটওয়েতে মিয়ানমার সরকারকে এবং নাফ নদী পার হওয়ার সময় আরাকান আর্মিকে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমার সরকারের পাশাপাশি উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এটি একটি বড় সমস্যা এবং তা সমাধানে সরকার কাজ করছে।” 

কক্সবাজারে অপহরণের প্রবণতা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকে অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে, ততই আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল। সরকার তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে।”

সভায় সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কক্সবাজার জেলার দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ