খুলনায় পাওনা টাকা আনতে গিয়ে চাপাতির আঘাতে মাংস বিক্রেতা নিহত
Published: 1st, March 2025 GMT
খুলনার রূপসা উপজেলায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে এক মাংস ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার সেনের বাজার এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই ব্যবসায়ীর নাম আরিফ (২৬)। তিনি খুলনা সদরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় শাহীন নামের আরেক মাংস বিক্রেতা আহত হয়েছেন। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, খুলনার গল্লামারী এলাকায় মাংসের ব্যবসা করেন আরিফ। তিনি পাওনা টাকা চাইতে গতকাল সন্ধ্যার দিকে রূপসার সেনের বাজার এলাকায় রুবেল ও তাঁর ভাই জুয়েলের মাংসের দোকানে যান। এ সময় আরিফের সঙ্গে ছিলেন আরেক মাংস ব্যবসায়ী শাহীন। আরিফ অনেক দিন ধরে রুবেল-জুয়েলের কাছে পাইকারি দরে মাংস বিক্রি করে আসছিলেন। এ বাবদ ওই দুই ভাইয়ের কাছে বড় অঙ্কের টাকা পাওনা ছিল আরিফের। বিষয়টির সমাধানে উভয় পক্ষকে নিয়ে গতকাল সালিসে বসেছিল সেনের বাজার কমিটি। এ সময় আরিফের সঙ্গে রুবেলের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রুবেল ও জুয়েল চাপাতি নিয়ে আরিফ ও শাহীনের ওপর হামলা চালান। তাঁদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ওই দুই ভাই।
স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আরিফ ও শাহিনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত পৌনে ১০টার দিকে আরিফ মারা যান। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশটি হাসপাতালটির মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান আজ শনিবার সকালে জানান, আরিফের মাথার মাঝবরাবর কোপ দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসাধীন শাহীনের পায়ে কোপ লেগেছে। ওই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা না হলেও বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’