‘যাওয়ার সময় হলো’, সেই পোস্টের রহস্য ফাঁস করলেন অমিতাভ
Published: 1st, March 2025 GMT
‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ আর অমিতাভ বচ্চন দারুণ এক জুটি। এই বলিউড অভিনেতা সঞ্চালনা শুরুর পর থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ছোট পর্দার কুইজ শোটি। সেই অমিতাভ বচ্চন কি এবার বিদায় জানাচ্ছেন ‘কেবিসি’কে? চলতি মাসের শুরুতে একটি পোস্টে সেই জল্পনা উসকে দিয়েছিলেন খোদ ‘বিগ বি’। এমনকি এমনও মনে করা হচ্ছিল তিনি ওই গেম শো-ই নয়, একেবারে রুপালি পর্দা থেকেই বিদায় নিতে চলেছেন। কেউ কেউ তাঁর স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে থাকেন। কিন্তু অবশেষে সব জল্পনা শেষ করলেন অমিতাভ। জানিয়ে দিলেন, তাঁর ওই রহস্যময় পোস্টের অর্থ কী।
সব রহস্যের সমাপ্তি ঘটেছে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ সিজন ১৬-এর নতুন পর্বে। সেই পর্বের যে প্রোমো প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে বিগ বি এক ভক্তের নাচের আহ্বানে সাড়া দিতে গিয়ে কী বলছেন, তা–ও নজরে এসেছে সবার। বচ্চন বলেছেন, ‘কে নাচবে? আরে ভাই, নাচার জন্য আমাকে কেউ এখানে আনেনি।’ এরপরই এক ভক্ত জানতে চান, অমিতাভ বচ্চন যে কয়েক দিন আগে ‘যাওয়ার সময় হলো’ লিখেছিলেন, সেটার অর্থ কী? তখন অমিতাভ বলে ওঠেন, ‘যাওয়ার সময় হলো অর্থাৎ…।’ দর্শকেরা চেঁচিয়ে ওঠেন, ‘আপনি কোথাও যেতে পারবেন না।’
এরপরই বিগ বি বলে ওঠেন, ‘আরে ভাই, আমার কাজে যাওয়ার সময় হলো। আশ্চর্য কথা বলো বটে বন্ধুরা। আর যখন রাত দুইটার সময় আমার ছুটি হয়, তখন বাড়ি ফিরতে ফিরতে আরও দেরি হয়ে যায়। সেটাই লিখতে লিখতে আমার ঘুম পেয়ে গিয়েছিল…তাই সেটা অসমাপ্তই থেকে গিয়েছিল। যাওয়ার সময় অথচ আমিই কি না ঘুমিয়ে পড়লাম!’
অমিতাভের এমন মজার উত্তরে সবাই অবাক। এই অংশটুকুও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বয়স ৮০ পেরোলে কী হবে, ‘তরুণ’ অমিতাভের রসবোধ যে এতটুকু কমেনি, তা যেন আবার প্রমাণিত হলো।
আরও পড়ুনব্যাংককে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্লাবে গিয়েছিলেন অমিতাভ, এরপর...১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’