বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এম জি মাসুম রাসেল বলেছেন, রাজনীতি করতে হলে চরিত্র ভালো করতে হবে। চরিত্র খারাপ করে রাজনীতি করলে একসময় জনরোষের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালাতে হয়।

নারায়ণগঞ্জ থেকেও অনেকেই পালিয়েছে। অত্যাচার, নির্যাতন, খুন ও গুম করে ক্ষমতায় থাকা যায়না। ক্ষমতায় থাকতে হলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হয়। 

মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে পারলে আওয়ামী লীগের মত দিনের ভোট রাতে দিতে হবে না। সৎ ও ভালো মানুষের স্থান সব সময় মানুষের হৃদয়ে থাকে। তাই আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে বিএনপিকে ভালো কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।

আমাদের নেতা তারেক রহমানের পরিস্কার নির্দেশনা রয়েছে চাঁদাবাজি ও মাস্তানি করলে বিএনপিতে স্থান হবে না। কতিপয় বিএনপি নামধারী ও দুস্কৃতিকারীদের অপকর্মের কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর অন্দোলন সংগ্রাম করে অর্জিত সফলতাকে নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। 

শনিবার (১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে মধ্য সানারপাড় এলাকায় নাসিক ১ থেকে ৫ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির নির্দেশে সভায় উপস্থিত সকল নেতাকর্মীদের কাছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা।

এছাড়াও অতিথিদের বক্তব্য দেওয়ার আগে দলীয় অগ্রগতি সম্পর্কে উপস্থিত কর্মীদের কাছ থেকে উন্মক্ত মতামত গ্রহণ করা হয়। মতামত প্রদানকালে ওয়ার্ড কমিটিতে যেন কিছুতেই আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের লোকজন স্থান না পায়, সে বিষয়টির প্রতি গুরুত্বদেন নেতাকর্মীরা। 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো.

রিপন সরকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রেদোয়ান হোসেন পাপ্পুর সঞ্চালনায় এ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী ফয়সাল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এম আর গণি মোস্তফা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রহমান রাজিব, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন মির্জা জনি, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম, মো: শাহীন আহম্মেদ, মেহেদী হাসান (মিঠুন), আক্তার হোসেন, সদস্য আনিসুল হক বাবু, আক্তার হোসেন টুটুল, মো: ইসমাঈল খান ও মো: হাসানুজ্জামান লিমন (সহ-দপ্তর) ও শরিফুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মাস্টার, যুগ্ম আহ্বায়ক আহম্মেদ হুমায়ুন কবির, নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল হোসেন (সুহিন), লুৎফর রহমান রাসেল, আশরাফুল ইসলাম, মো: শহীদুল্লাহ প্রধান সেলিম, মো: মনোয়ার বিন রশিদ (কর্ণেল অব.), সদস্য রবিউল ইসলাম বাবু (দপ্তরের দায়িত্বে), মো: আল আমিন, জাহিদুল ইসলাম, আল আমিন শেখ, মো: ইব্রাহিম খলিল, মো: মিজান, মো: ইউসুফ মোল্লা স্বপন, খাজা মহিউদ্দিন হিরা, মো: মিরাজ, মো: মনির হোসেন, মো: রিয়াজ উদ্দিন, মো: জাহিদুল ইসলাম রনি, সোহাগ মিয়া, মো: সফিকুল ইসলাম প্রিন্স, মো: সুমন মিয়া, মো: রাজু আহম্মেদ, মো: আল আমিন জমাদ্দার, ইঞ্জি. রাসেল পাটোয়ারী ও মো: শাহ আলম।

সভাশেষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ও সদস্য পদের জন্য সদস্য ফরম বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি এম জে মাসুম রাসেল। একই দিন বিকেল ৪ টায় একই অতিথিদের উপস্থিতিতে গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নাসিক ৬ থেকে ১০ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন ল ইসল ম উপস থ ত কম ট র সদস য রহম ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

কারখানার বর্জ্যে মরছে নদ

ডাইং কারখানার বর্জ্যে মরছে ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রকাশ্যে এ দূষণ ঘটলেও দেখার কেউ নেই। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ভুক্তভোগীদের। পরিবেশ কর্মকর্তা চাইছেন সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও নরসিংদী সদর উপজেলায় অন্তত ৬০টি ডাইং কারখানা ব্রহ্মপুত্র দূষণের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। নদের তীরে অবস্থিত এসব কারখানায় এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) থাকলেও তারা বর্জ্য পরিশোধন না করেই প্রতিদিন নদে ফেলছে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এ নদের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষজন।
অভিযোগ রয়েছে, নদের তীরে অবস্থিত কারখানাগুলো ইটিপি রাখলেও তারা বর্জ্য পরিশোধন না করেই নদে ফেলছে। অনেক কারখানায় ইটিপি থাকলেও খরচ কমাতে বেশির ভাগ সময় তা বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া বেশকিছু কারখানার ইটিপি প্রয়োজনের তুলনায় ছোট হওয়ায় সঠিকভাবে বর্জ্য পরিশোধন করা সম্ভব হয় না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, নরসিংদী সদর উপজেলায় রয়েছে ছোট-বড় ৫০টি ডাইং কারখানা। আড়াইহাজারে স্পিনিং মিলসহ ডাইং কারখানা রয়েছে অন্তত ১০টি। নরসিংদীর ডাইং কারখানাগুলোর মধ্যে পাঁচদোনা এলাকার আবদুল্লাহ ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ, বাঘহাটা এলাকার ফাইভ অ্যান্ড ফাইভ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, সাজেদা ডাইং, আনোয়ার ডাইং, শতরূপা ডাইং, রুকু ডাইং, মেসার্স একতা ডাইং, কুড়েরপাড় এলাকার ব্রাদার্স টেক্সটাইল, ইভা ডাইং, ভগীরথপুর এলাকার এম এমকে ডাইং, নীলা ডাইং, এইচ এম ডাইং, মা সখিনা টেক্সটাইল, মুক্তাদিন ডাইং, পাঁচদোনা এলাকার তানিয়া ডাইং, সান ফ্লাওয়ার টেক্সটাইল প্রভৃতি।
আড়াইহাজারের কয়েকটি কারখানা হলো– ভাই ভাই স্পিনিং মিলস, ছাবেদ আলী স্পিনিং মিল, রফিকুল ডাইং, দিপু ডাইং ও হাজী হাবিবুর ডাইং।
আড়াইহাজার পৌরসভার চামুরকান্দি এলাকার বাসিন্দা মিয়াজউদ্দিন মিয়া বলেন, দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে নদটি। দেশীয় জাতের মাছের অভয়াশ্রম এ নদ থেকে মাছ হারিয়ে গেছে।
আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেন জানান, রফিকুল ডাইংয়ের বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে পানির রং কালচে হয়ে গেছে। একই অবস্থা অন্য কারখানাগুলোর। বর্জ্য নদে ফেলার বিষয়ে স্থানীয়রা কথা বলতে গিয়ে উল্টো কারখানা কর্তৃপক্ষের হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
রফিকুল ডাইংয়ের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের ইটিপি নেই। ডাইংয়ের পানি তারা নির্দিষ্ট পানির ট্যাংকে রাখেন, সরাসরি নদে ফেলেন না। ট্যাংকে জমানো পানি কোথায় ফেলেন জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের গনেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হাসান শুভর ভাষ্য, কুড়েরপাড় এলাকার ডাইং কারখানাগুলোর রং মেশানো বর্জ্য পরিশোধন না করে ব্রহ্মপুত্রে ফেলায় নদটি এখন মৃতপ্রায়। দূষণের কারণে দুর্গন্ধে এর পারে দাঁড়ানো যায় না। স্থানীয়রা অনেকবার প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি।
গত ১৫ এপ্রিল শিলমান্দী ইউনিয়নের কুড়েরপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইভা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড নামে একটি কারখানা থেকে বর্জ্য এসে পড়ছে নদের পানিতে। ভিডিও করতে দেখে কারখানা কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে দেয়।
ইভা ডাইংয়ের ইটিপি ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তারা প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন। অনেক কারখানা সরাসরি নদে বর্জ্য ফেললেও তারা নদ দূষণ করেন না। 
একই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফাতেমা ডাইংসহ ব্রহ্মপুত্রের তীরে গড়ে ওঠা কারখানাগুলো থেকেও নদে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে এসব কারখানার কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, নদে বর্জ্য ফেলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক বাবু জানান, ব্রহ্মপুত্রে নদে সরাসরি বর্জ্য ফেলছে ডাইংসহ যেসব কারখানা সেসবের অধিকাংশই নরসিংদী জেলার অন্তর্গত। তাই নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নদ দূষণমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আড়াইহাজারের ইউএনও সাজ্জাত হোসেন বলেন, কখনও কখনও কিছু কারখানা বর্জ্য পরিশোধন না করেই নদে ছেড়ে দেয়। কোন কারখানা নদ দূষণ করছে, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশবাদী সংগঠন তা জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস চালু হচ্ছে ১০ মাস পর
  • অটোরিকশার ধাক্কায় ছিটকে বাসের নিচে, দুই বন্ধু নিহত
  • আজমির ওসমান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার মাসুম প্রকাশ্যে. আতঙ্ক
  • মে দিবসের সমাবেশকে সফল করতে মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভা 
  • নারায়ণগঞ্জে বালক (অনূর্ধ্ব-১৫) ফুটবল প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
  • নারায়ণগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে তরুণের মৃত্যু
  • নারায়ণগঞ্জের কদম রসুল সেতুর সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখ পুনর্নির্ধারণের দাবিতে স্মারকলিপি
  • জেলা প্রশাসককে ২৪’র শহীদদের স্মারক দিল জামায়াত
  • কমিউনিষ্ট পার্টির হাফিজের বিরুদ্ধে ইসমাইলের সংবাদ সম্মেলন
  • কারখানার বর্জ্যে মরছে নদ